অরক্ষিত শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী নাকুগাঁওয়ের গণকবর। ৭১ সালের সেই দিনের যুদ্ধে নিহত ভারতের নয়জন বিএসএফের স্মরণে সীমানার কাঁটাতার ঘেঁষে স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্ত বাংলাদেশের ৫৫-৬০ জনের গণকবরটি আজও সংরক্ষণ করা হয়নি। ভারত-বাংলাদেশ শূন্য রেখায় ভোগাই নদের তীর ঘেঁষা ২০ শতাংশ জায়গাজুড়ে রয়েছে এ গণকবরের অবস্থান। সংরক্ষণের অভাবে অযতœ-অবহেলায় পড়ে থাকা এই গণকবরটি শেরপুরেরর নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও এলাকায় অবস্থিত। গণকবরটি সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন নিহতের স্বজন, মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় এলাকাবাসী। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৭১ সালে নাকুগাঁও স্থলবন্দর হয়ে এ দেশের শতাধিক পরিবার নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা জেলার সীমান্তবর্তী ডালুবাজার, বারাঙ্গাপাড়া, চান্দুভুঁই, মাছাংপানি, ছৈপানি, ডিমলারপাড়া এলাকার সড়ক ও গাছতলায় আশ্রয় নেন। ২৫ মে পাকিস্তানি হানাদারদের একটি বড় দল ভোগাই নদী পার হয়ে ভারতের ডালু বিএসএফ ক্যাম্পসহ প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা ঘিরে ফেলে। বিএসএফের প্রতিরোধ সত্ত্বেও হানাদারদের এক ঘণ্টার তা-বে নয়জন বিএসএফ সদস্যসহ শতাধিক বাংলাদেশি নিহত হন। সে দিন নিহত অনেকের লাশ ভোগাই নদের পানির স্রোতে ভেসে যায়। তাদের মধ্যে যে ৫০-৬০ জনের মৃতদেহ পাওয়া যায়, সেই লাশ নাকুগাঁও শূন্য রেখার কাছে গণকবর দেওয়া হয়। আর বিএসএফ সদস্যদের ভারতের মাটিতে সৎকার করা হয়। ৭১ সালের সেই যুদ্ধে নিহত ভারতের নয়জন বিএসএফের স্মরণে সীমানার কাঁটাতার ঘেঁষে স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্ত স্বাধীনতার এত বছর পরও গণকবরটি আজও সংরক্ষণ করা হয়নি।