শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

লবণের সঙ্গে আর্টিমিয়া চাষে দ্বিগুণ লাভ

“আর্টিমিয়া এক ধরনের জলজ ক্ষুদ্র জীব"

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারে লবণের সঙ্গে চাষ হচ্ছে চিংড়ির খাবার আর্টিমিয়া। একদিকে লবণ চাষ থেকে আয়, সঙ্গে এখন নতুন করে যোগ হয়েছে আর্টিমিয়া। এতে লবণ চাষিরা দ্বিগুণ লাভবান হচ্ছেন। লবণ চাষি জসিম উদ্দিন জানান, আগে শুধু লবণ চাষ করে আয় হতো। এখন একই মাঠে লবণ ও আর্টিমিয়া চাষ করে ভালো আয় হচ্ছে। তিনি বলেন অনেক সময় লবণের দাম কম পাওয়া যায়। তখন আর্টিমিয়া বিক্রি করে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া হয়। ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়িত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় আর্টিমিয়া ফর বাংলাদেশ প্রকল্পের অধীনে গত বুধবার কক্সবাজারের কলাতলিতে হোটেল প্রাইম পার্কে কর্মশালা আয়োজন করা হয়। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল অংশ গ্রহণকারীদের আর্টিমিয়া মজুদকরণ এবং ব্যবস্থাপনার সঠিক ধারণা দেওয়া। কর্মশালার প্রধান বক্তা এবং প্রশিক্ষক ছিলেন ভিয়েতনামের কান্থো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এনগুইন ভ্যান হোয়া এবং বেলজিয়ামের ঘেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর প্যাট্রিক সরগিলস। তারা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আর্টিমিয়া মজুদকরণের পদ্ধতি, আর্টিমিয়া সিস্ট ও বায়োমাসের সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের বিজ্ঞান ভিত্তিক উপায় তুলে ধরেন। প্রকল্পের টিম লিডার ড. মুহাম্মদ মীজানুর রহমান সূচনা বক্তব্যে বলেন, আর্টিমিয়া হলো এমন এক ধরনের জলজ ক্ষুদ্র জীব যা অধিক ঘনত্বের লবণ পানিতে চাষ করা হয়। সারা বিশ্বের মৎস্য ও চিংড়ি হ্যাচারিতে লার্ভার জীবিত খাদ্য হিসাবে এটা ব্যবহৃত হয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর চিংড়ি হ্যাচারিতে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে প্রায় ৪০ মেট্রিক টন আর্টিমিয়া আমদানি করা হয়- যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৫০ কোটি টাকা। লবণ খামারে সমন্বিত লবণ ও আর্টিমিয়া চাষের মাধ্যমে চাষিরা অধিক লাভবান হবেন এবং দেশে আর্টিমিয়ার চাহিদা পূরণে আমদানি নিভর্রতা কমবে।

সর্বশেষ খবর