বেহাল গাইবান্ধার জরাজীর্ণ পৌর বাস টার্মিনালটি। অনেকের মতে, শুধুই গাইবান্ধা পৌরসভার আয়ের উৎস হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এটি রক্ষণাবেক্ষণ দেখভাল ও উন্নয়নের কোনো দায়িত্বই যেন তাদের নেই। তেমনি টার্মিনালের জায়গা-জমি অবকাঠামোগত কোনো তথ্যই পৌরসভা সংরক্ষণ করে না। প্রতি বছর পৌরসভা এটি ইজারা দিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করেই খালাস। চলতি বছরও তারা (বাংলা ১৪২৭ সন) শৌচাগারসহ এটি ১৮ লাখ ৭৫ হাজার ৫০০ টাকা ইজারা দিয়েছেন। বাসযাত্রী, মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, টার্মিনালটির বেহাল দশা বহু বছর আগে থেকেই। টার্মিনালের ভিতরের রাস্তা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সবসময় কাদা পানি জমে থাকছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রী ও বাস শ্রমিকরা। বর্ষাকালে ভোগান্তির চিত্র অবর্ণনীয়। ৩৫ বছর আগে তৈরি করা যাত্রী ছাউনিটির এখন ভগ্ন দশা। টার্মিনাল ভবনের দরজা, জানালা ভেঙে গেছে। ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। যাত্রীদের বসবার কোনো জায়গা নেই। নেই টয়লেট। মূল ভবন থেকে কাদা মাড়িয়ে সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন যে টয়লেটে যেতে হয় সেটিও ভাঙাচোরা, অপরিষ্কার ও দুর্গন্ধে ব্যবহার অনুপযোগী। কিন্তু সেটিও পৌরসভা বার্ষিক ২০ হাজার টাকায় ইজারা দিয়েছে। আর টার্মিনাল ভবনটিতে টিকিট কাউন্টারগুলো একদিকে ভগ্ন দশায়। যেন কেউ ব্যবহার করছে না। তেমনি বেশির ভাগ কক্ষ শ্রমিক, কন্ডাক্টর, চালকদের বিভিন্ন সমিতি ও সংগঠনের দখলে। আবার গোয়ালঘরের মতো গরু, মহিষ যেমন বেঁধে রাখা হচ্ছে। তেমনি হকারদের ভ্যানসহ নানা সামগ্রী রাখার জায়গায় পরিণত হয়েছে ভবনটি। এই টার্মিনাল থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, বগুড়া, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন রুটের শতাধিক বাস চলাচল করে। ফলে এখানে প্রতিদিন ৫/৬ হাজার মানুষের সমাগম হয়। নিয়মিত যাতায়াতকারী কয়েজন যাত্রীর সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, নারী যাত্রীরা টয়লেট ব্যবহার নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়েন। আর বৃষ্টি বাদলের দিন অপেক্ষা করার মতো কোনো স্থান না থাকায় বৃষ্টিতে ভিজতে হয়। আশপাশের দোকান ও হোটেলে আশ্রয় নেন যাত্রীরা। গাইবান্ধা বাস মালিক সমিতির সভাপতি কাজী মকবুল হোসেন মুকুল বলেন, এটি পৌরসভার আয়ের একটি বড় উৎস হলেও বহুবার পৌরসভাকে টার্মিনালের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েও ফল পাইনি। বেহাল এই টার্মিনালটি একেবারেই ব্যবহার অনুপযোগী। তাই দূর পাল্লার বাসের টিকিট কাউন্টারগুলো ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গায় ভাড়া নিয়ে চালাতে হচ্ছে। কিন্তু পৌরসভা সেখানে গিয়েও বাস প্রতি প্রতিদিন ৫০ টাকা করে টোল আদায় করছে। পাঁচ শতাধিক পরিবহন শ্রমিক কর্মচারী এই অবকাঠামো থেকে কোনো সুবিধাই পাচ্ছে না। কাদাপানির কারণে যাত্রীরাও টার্মিনালের ভিতরে প্রবেশ না করে রাস্তা থেকেই বাসে ওঠানামা করে থাকেন। টার্মিনালটির বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গাইবান্ধা পৌরসভায় গেলে সেখানে কোনো তথ্যই মেলেনি। পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এ বি এম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, কতখানি জায়গার ওপর কত টাকায় অবকাঠামো কত সালে তৈরি হয়েছিল। সে বিষয়ে কোনো ফাইল খুঁজে পাওয়া যায়নি। এসব বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারছি না।
শিরোনাম
- নয়জনের দল নিয়েই বায়ার্নকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পিএসজি
- মিশরে দুই মিনিবাসের সংঘর্ষে ৯ জন নিহত, আহত ১১
- তানভীরের জবাব: ক্যাপ্টেনের ভরসাই আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি
- করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি
- সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা
- ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল
- ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে
- শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
- মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান
- জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম
- পাহাড়ি ফল ঐতিহ্যের অংশ : উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
- পল্লী বিদ্যুতের সাব-যোনাল অফিস স্থানান্তরের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ
- প্রবাসী ভাইয়ের লাশ আনতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের
- নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : নার্গিস বেগম
- বিচার ও সংস্কারের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হবে : নাহিদ
- চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের আনন্দ মিছিল
- উত্তাল বঙ্গোপসাগরে আশ্রয় নিল শত শত ট্রলার, চার বন্দরে সতর্কতা
- বিএনপি নামলে নির্বাচন পেছানোর সাহস কারো নেই : গয়েশ্বর
- পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ হবে : জামায়াত আমির
- রূপগঞ্জে কুপিয়ে আহত ইলেকট্রিশিয়ানের মৃত্যু
বেহাল গাইবান্ধার পৌর বাস টার্মিনাল
গৌতমাশিস গুহ সরকার, গাইবান্ধা
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর