রসেভরা হাঁড়িভাঙ্গা আম নিয়ে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন রংপুরের চাষিরা। গাছে গাছে মুকুলে ভরে যাওয়া বাগানের যত্ন করছেন দুবেলা। হাঁড়িভাঙ্গা আম এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও উদ্যোক্তার অভাবে বাণিজ্যিকভাবে এই আম রপ্তানি করা যাচ্ছে না। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে রংপুরে প্রায় সাড়ে চার হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এর মধ্যে হাঁড়িভাঙ্গা উৎপাদন হয়েছে এক হাজার ২৫০ হেক্টরে। প্রতি হেক্টরে ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯ মেট্রিকটন। মিঠাপুকুর উপজেলার ময়েনপুরের আম চাষি শাহজাহান বকুল জানান, প্রতিবছর ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে ঝড়-বৃষ্টিতে আমের মুকুলের ক্ষতি হয়। এবার এখন পর্যন্ত ঝড়, বৃষ্টি না হওয়ায় আমের মুকুল তরতাজা রয়েছে। তিনি আশা করেন আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার ফলন ভালো হবে।
বকুল বলেন, হাঁড়িভাঙ্গা আমের দেশেজুড়ে খ্যাতি থাকলেও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া এই আম দীর্ঘদিন সংরক্ষণের উপায় জানা নেই তাদের। মিঠাপুকুর ও বদরগঞ্জে গেলে চেখে পড়বে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে শুধু হাঁড়িভাঙ্গার বাগান। এ অঞ্চলের মাটি আম চাষের উপযোগী হওয়ায় চাষিরা অন্য ফসলের চেয়ে আমবাগানে বেশি মনোযোগী হয়ে উঠছেন। শ্যামপুরের আমচাষি সামছুজ্জামান জানান, বাগান ঘিরে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন তারা। সব ঠিক থাকলে একেকটি বাগানে ৩-৪ লাখ টাকার আম পাওয়া যায়। মৌসুমে আম বিক্রি করে এখানকার হাজার হাজার চাষি অর্থনৈতিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনেন বলে তিনি জানান। রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্যান বিশেষজ্ঞ মেছবাহুল ইসলাম জানান, আমের ফলন এখন পর্যন্ত ভালো। মাঠপর্যায় থেকে কোনো খারাপ খবর পাওয়া যায়নি।