বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

ইউরোপসহ ১০ দেশে যাচ্ছে জয়পুরহাটের আলু

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

ইউরোপসহ ১০ দেশে যাচ্ছে জয়পুরহাটের আলু

দেশের গন্ডি পেরিয়ে জয়পুরহাটের আলু এখন বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। মান ও জাতের ওপর গুরুত্ব দিয়ে এসব আলু আপাতত ইউরোপসহ ১০ দেশে যাচ্ছে। এসব দেশের মধ্যে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, নেপাল রাশিয়া ও দুবাইয়ে রপ্তানি করা হচ্ছে। এতে করে জেলাতে আলুর মূল্য অনেকাংশে নিশ্চিত হচ্ছে। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিদেশে আলু রপ্তানি করার অনুমোদন পেয়েছে। এ বছরই আলু রপ্তানির উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার আলু রপ্তানি কারক সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সুজাউল ইসলাম সুজা জানান আলু রপ্তানি করতে কিছু দিকনির্দেশনা মেনে চলতে হয়। প্রথমে জমি নির্বাচন পর সেই জমিতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে আলু রোগ বালাই মুক্ত করে ফলন নিশ্চিত করার পর আলু পরিপক্ব হলে তা উত্তোলন করতে হয়। একপর্যায়ে বাছাইয়ের পর গ্রেটিং করে ৫ কেজি ১০ কেজি ২০ কেজি প্যাকেট করে রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করে প্রক্রিয়াজাতের কাজ শেষ হলে তা ঢাকায় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়।

সেখান থেকে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে রপ্তানি করা হয়। এ বছর তার সংস্থা থেকে প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন আলু রপ্তানির আশা করছে। তিনি জানান আলু রপ্তানিতে কৃষি বিভাগসহ অন্যান্য সংস্থার ছাড়পত্র পেতে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। ফলে অনেকে অনুমোদন ছাড়ায় আলু রপ্তানির চেষ্টা করে লোকসানে পড়েন। তার সংস্থায় বর্তমানে শতাধিক শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। কৃষি বিভাগের তথ্য মতে চলতি ২০২০-২১ মৌসুমে জেলায় ৪১ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। আলু উৎপাদন হয়েছে ৯ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। গত মৌসুমে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। আলু উৎপাদন হয়েছিল ৮ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন। ফলন ভালো হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা গ্যানোলা, মিউজিকা, ডায়মন্ড, এস্টোরিকস, কার্ডিনাল, রোজেনটা ও দেশি জাতের আলু বেশি চাষ করে থাকেন। জেলার ১৫টি কোল্ড স্টোরেজে প্রায় ১ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে। জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক স ম মেফতাহুল বারি বলেন দেশের চাহিদা পূরণ করে যাতে বিদেশে আলু রপ্তানি করা যায় সে বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এবার বাজারেও আলু প্রকার ভেদে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কেজি বিক্রি হওয়ায় কৃষকরা বেশ খুশি। বিদেশে যে আলু রপ্তানি করা হচ্ছে তা বাছাই এবং প্রক্রিয়া করে খরচ পড়ছে ৩০ টাকা।

সর্বশেষ খবর