রবিবার, ২৩ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

সড়ক উন্নয়ন কাজে অনিয়মের অভিযোগ

দুই পাশ প্রশস্ত করাসহ সংস্কার কাজে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার ও শিডিউল অনুযায়ী কাজ হচ্ছে না

নাটোর প্রতিনিধি

সড়ক উন্নয়ন কাজে অনিয়মের অভিযোগ

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় নিম্নমানের বালু ও খোয়া দিয়ে চলছে সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ। এমনকি ঠিকমতো রোলার করা এবং পানিও দিচ্ছে না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে কাজে এমন অনিয়ম করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এমন নিম্নমানের কাজে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার তমালতলা থেকে জামনগর সড়কে চলছে সংস্কার ও প্রশস্তকরণের কাজ। নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সাড়ে ৫ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ কাজে ২ কোটি ৭৯ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে কাজ করতে চুক্তি করেছেন একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ১০ ফুট প্রশস্ত সড়কের দুই পাশে আরও ২ ফুট করে সর্বমোট ৪ ফুট প্রস্তুত করা হচ্ছে। সড়কটির দুই পাশে প্রশস্তকরণসহ সংস্কার কাজে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার ও শিডিউল মোতাবেক কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের অভিযোগ, দুই পাশে প্রশস্ত করতে নিম্নমানের বালু ও খোয়া ব্যবহারের পাশাপাশি ঠিকমতো পানি ও রোলার করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা আরও জানান, নির্মাণ কাজে বালুর সঙ্গে মাটি মিশিয়ে ফেলা হচ্ছে। দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী সড়কের দুই সাইটে এজিং এর জন্য নতুন ইট ব্যবহার করার কথা থাকলেও সড়কটি থাকা পুরনো ইটই পুনরায় তুলে একই স্থানে বসানো হয়েছে। এ ছাড়া সড়কের জন্য এক নম্বর খোয়া ধরা আছে কমপ্যাক্ট ৪ ইঞ্চি লুজ ব্যবহারের কথা থাকলেও সবচেয়ে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করতে দেখা গেছে। স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করে বলেন কাজটি দেখভালের জন্য উপজেলা এলজিইডির কর্মকর্তা, কর্মচারীরা থাকলেনও বাস্তবে তাদের দেখা মেলে না। কাজের অনিয়মের কথা উল্লেখ করে উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগের কার্যসহকারী ইসলাম আলী সড়কটির দায়িত্বে থাকা একই দফতরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোমতাক আহম্মেদকে উদ্দেশ করে বলেন- ৯ ইঞ্চি বালির সঙ্গে ৬ ইঞ্চি খোয়া গিয়ে কমপেস্ট করার কথা। দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী সড়কের দুই সাইটে এজিংএর জন্য নতুন ইট ব্যবহার করার কথা থাকলেও সড়কটিতে থাকা পুরনো ইটই পুনরায় তুলে একই স্থানে বসানো হয়েছে । এ ছাড়া সড়কের জন্য এক নম্বর খোয়া ধরা আছে কমপ্যাক্ট ৪ ইঞ্চি লুজ ব্যবহারের কথা থাকলেও সবচেয়ে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করতে দেখা গেছে। উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোশতাক আহম্মেদের যোগসাজশে নিম্নমানের কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোশতাক আহম্মেদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। সড়কের নির্মাণ কাজ চলাকালে সরেজমিনে সত্যতা মিলেছে। সেখানে উপজেলা এলজিইডি বিভাগের কর্তা ব্যক্তিদের দেখা না মিললেও কাজ করতে দেখা যায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনদের। বাগাতিপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. আজিজুর রহমান এমন অভিযোগ অস্বীকার করে, যথেষ্ট মান নিয়ন্ত্রণ করে সুন্দর ভাবে কাজটি করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান। এদিকে শতভাগ কোয়ালিটি সম্পন্ন মালামাল দিয়ে কাজ করছেন বলে দাবি করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এলাকাবাসীর দাবি যথাযথ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিয়ে দেশের টাকা তছরুপ বন্ধের পদক্ষেপ নেবে।

সর্বশেষ খবর