হাওরের জলাবদ্ধতা নিরসন এবং এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওরের ফানাই নদী খননে বরাদ্দ হয় কয়েক কোটি টাকা। অভিযোগ রয়েছে খননের মাটি অতিবৃষ্টির কারণে ফের নদীতে পড়েছে। এছাড়া ওয়ার্কঅর্ডার অনুযায়ী কাজ হয়নি। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন হাওর পারের কয়েক লাখ মানুষ। সাধারণ মানুষ তাদের ভোগান্তি নিরসনের জন্য একাধিকবার প্রতিবাদ করলেও আমলে নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সচেতন মহল বলছেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঠিক তদারকির অভাব ও কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নামকাওয়াস্তে কাজ করে বিল উত্তোলনের পাঁয়তারা করছে। ওয়ার্কঅর্ডার অনুযায়ী কাজ না হলে উপকারের পরিবর্তে কৃষকদের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পাবে- এমন আতঙ্কে রয়েছেন হাওর তীরবর্তী বাসিন্দা। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে মৌভলীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ফানাই নদী খনন প্রকল্পের কাজ হাতে নেয় মন্ত্রণালয়। ৪০ কিলোমিটার খননে প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে (ভাটি অংশ) হাকালুকি হাওরের চকিয়া বিল থেকে ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের কাকিচার গ্রাম পর্যন্ত সাড়ে ২৩ কিলোমিটার খনন ও নদীর দুই পাশ ড্রেজিং করে জলজ বৃক্ষ রোপণে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৭ কোটি ৭৪ লাখ ১৯ হাজার ১৬ টাকা। কাজ পায় ঢাকার দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। উজান অংশে ব্রাক্ষণবাজার ইউনিয়নের কাকিচার হতে কর্মধা ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকা মহিষমারা পর্যন্ত সাড়ে ১৬ কিলোমিটারে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। কাজ পায় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। জানা যায়, ২০১৯ সালে কাজ শুরু হয়ে চলতি বছরের মার্চে ভাটি অংশের প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। কাজ শেষ হয়েছে ৭০/৭৫ ভাগ। ইতিমধ্যে ৫০ শতাংশ টাকা উত্তোলন করেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। উজান অংশের কাজের মেয়াদ আগামী নভেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। ইতিমধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৬০/৬৫ ভাগ। ৪০ শতাংশ টাকা উত্তোলন করেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।