বেহাল সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বাজার স্টেশন থেকে মাছুমপুর ও মাহমুদপুর পর্যন্ত ৩০০ মিটার সড়ক। সড়কটি এখন খানাখন্দে ভরপুর। সামান্য বৃষ্টিতে কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়। চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় লাখ লাখ মানুষকে। অথচ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন জেলা পুলিশ লাইনস, আনসার ভিডিপি, জেলা কারাগার, জাতীয় জুটমিল ও সরকারি শিশু সদনসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে হয়। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী কামারখন্দ উপজেলা এবং মাছুমপুর, মাহমুদপুর কান্দাপাড়াগ্রামসহ অর্ধশতাধিক গ্রামের লাখ লাখ মানুষ যাতায়াত করছেন। বিগত তিন বছরেও সামান্য ৩০০ ফুট সড়ক সংস্কার না করায় সাধারণ মানুষ পৌর কর্তৃপক্ষসহ সরকারের নানা সমালোচনা করছেন। পৌর কর্তৃপক্ষের লোকজন প্রতিনিয়ত এ সড়ক দিয়ে চলাচল করলেও কোনো পদক্ষেপ নেই তাদের। এ নিয়ে এ সড়কে চলাচলকারী  মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিন দেখা যায়, এ সড়কের মাঝখানে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দে জমে আছে বৃষ্টির পানি ও কাদা। বড় কিংবা মাঝারি যানবাহন চলার সময় পথচারী ও সবজি বিক্রেতাদের শরীরে লাগছে কাদাযুক্ত পানি। অপসারণ না করায় জমে থাকা ময়লার স্তুপগুলো পচে জনদুর্ভোগ যেন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সড়কটি দিয়ে শহর ছাড়াও ও পার্শ্ববর্তী মাছুমপুর-মাহমুদপুর, কালিয়া হরিপুর, শিয়ালকোল ও কামারখন্দ উপজেলার লোকজন যাতায়াত করছেন।

এ ছাড়া শহরের অধিকাংশ মানুষ কাঁচাবাজার করেন এ সড়কের ধারের রেলওয়ে স্টেশন থেকে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কটি নির্মাণে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না রাখায় বৃষ্টির পানি সড়কের ওপরই জমে থাকে। এ ছাড়া সংস্কারের অভাবে ছোট-বড় একাধিক খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ট্রাক, বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন পরিবহনকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। মাঝে মধ্যেই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে। এ ছাড়াও সবজি বিক্রেতাদের ফেলে দেওয়া আবর্জনা নিয়মিত অপসারণ না করায় সড়কটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। তিন বছর সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে থাকলেও কর্তৃপক্ষ সড়কটি সংস্কারে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করছে না।  রিকশাচালক হাবিবর ও আবদুর রহিম জানান, বৃষ্টি হলে রাস্তায় পানি আর কাদায় মনে হয় ময়লার ভাগাড়। তাই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। বাজার এলাকা হওয়ায় মাঝে মধ্যে মানুষের খুব ভিড় থাকে। তখন রিকশা নিয়ে যাতায়াত করা কষ্টকর হয়ে যায়।