মঙ্গলবার, ২২ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

বিলদহর বাজারে বাড়তি খাজনা আদায়

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের সিংড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিলদহর বাজারে নির্ধারিত খাজনার কয়েকগুণ বেশি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ইজারাদারের বিরুদ্ধে। অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের প্রমাণ লোপাট করতে রসিদে টাকার পরিমাণ না লিখে পরিশোধ লেখা হচ্ছে। ইজারাদারদের এমন আচরণের কারণে হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা কমতে শুরু করেছে। তাছাড়া এ হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ আছে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে ওই এলাকার জনস্বাস্থ্য। সাধারণ কৃষক, ক্রেতা-বিক্রেতা পণ্য বিকিকিনি করতে গিয়ে নাজেহাল হচ্ছেন। খাজনা দিতে গিয়ে তাদের নাভিশ্বাস উঠেছে।

জানা যায়, উত্তরাঞ্চলের কৃষিপণ্যের বিখ্যাত হাট সিংড়া উপজেলার বিলদহর হাট। যা এক সময় একান্নবিঘা হাট নামে পরিচিত।  সপ্তাহে বৃহ¯পতি ও রবিবার এখানে হাট বসে।

এ হাটে ধান, ভুট্টা, সবজি, বাঁশসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য ক্রয়-বিক্রয় হয়। হাটে পার্শ্ববর্তী গুরুদাসপুর উপজেলার চামারী, কলম, ডাহিয়া ও হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের কৃষকরা পণ্য নিয়ে আসে। এ ছাড়া বাজারে পাঁচ শতাধিক দোকান রয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, বিলদহর হাট বাজার ইজারাদারের চাহিদামতো খাজনা না দিলে ব্যবসায়ীদের মারধর করা হচ্ছে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অধিক হারে টাকা তোলা হচ্ছে। পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করেও প্রতিকার হয়নি। কয়েকজন মাংস ব্যবসায়ী জানান, বাজারের খাজনা আদায়ের কোনো নিয়মকানুন নেই। ব্যবসায়ীদের সুরক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। রোদ-বৃষ্টিতে খোলা আকাশের নিচে কর্দমাক্ত মাটিতে বসে ব্যবসা করতে হয়। কিন্তু খাজনায় কোনো মাফ নেই। ইজারাদার বেলাল হোসেন সরদার বলেন, সবকিছুই কি নিয়ম মেনে চলে? নিয়মের বাইরেও চলতে হয়। তবে অভিযোগগুলো সত্য নয়। আগের মতোই খাজনা আদায় করছি। হাটবাজার ইজারা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও সিংড়ার ইউএনও এমএম সামিরুল ইসলাম বলেন, খাজনার সরকারি মূল্য তালিকা ঝুলিয়ে তারপর হাট বসানোর কথা বলা হয়েছিল। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। বেশি খাজনা আদায়ের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর