আমের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে প্রসিদ্ধ জেলার মর্যাদা পেয়েছে নওগাঁ জেলা। এখানকার আম উৎপাদনকারীরা বছরের প্রথম থেকেই বৈরী আবহাওয়ায় উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছিলেন। এরপর করোনা পরিস্থিতিতে যানবাহনের অভাবে পাইকারি ক্রেতার সংখ্যা তুলনামুলক কম থাকায় আম বাজারজাতকরণ নিয়েও যথেষ্ট চিন্তিত ছিলেন তারা। মে মাসের শেষে আম পাড়ার মৌসুম শুরু হওয়ার আগে আমের বাজারজাতকরণে সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপে তারা আবার আশাবাদী হয়ে উঠছিলেন। শুরুতে বাজারে আমের দাম যখন আমচাষিদের মনে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছিল, ঠিক তখন গত ১ জুলাই থেকে সারা দেশে কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। ফলে নওগাঁর সাপাহারে আমের বাজারে তার প্রভাব ফেলেছে। বর্তমানে বাজারে ব্যাপারীরা আম কেনা এক রকম বন্ধ করে দেন। আমচাষিরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। নওগাঁ জেলার সবচেয়ে বড় আমবাজার সাপাহার উপজেলায় একই অবস্থা বিরাজ করছে। ঘোষণা মতে, কঠোর লকডাউনের কারণে গতকাল লকডাউনের দ্বিতীয় দিন থেকেই আম কিনছেন না পাইকারি ব্যবসায়ীরা। বাজারে নিয়ে আসা আম নিয়ে দারুণ বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। আম বিক্রেতা ও আমচাষিদের বক্তব্য- কঠোর লকডাউন ঘোষণার কারণে বাজারে ক্রেতা নেই। আর সে কারণে আম বিক্রি হচ্ছে না। পাইকাররাও বাইরের জেলা থেকে আসতে ভয় পাচ্ছেন। লকডাউনের মধ্যে তাদের কেনা আম বিক্রি করার কোনো জায়গা থাকবে কি না সে চিন্তা মাথায় রেখে তারা প্রায় আম কেনা ছেড়ে দিয়ে বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন। কঠোর এই লকডাউনের কারণে যদি আম উৎপাদনকারীরা আম বিক্রি ও ন্যায্যমূল্য না পান তাহলে চলতি মৌসুমে আম নিয়ে তাদের শেষ আশাটুকুও ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। গত শনিবার ও রবিবার সকাল থেকে অসংখ্য আম বিক্রেতাদের সারি সারি আমের লাইন নিয়ে বিকাল পর্যন্ত বসে থাকতে দেখা গেছে এবং সামান্য যে কয়েক মণ আম বিক্রি হতে দেখা গেছে তাও গত কয়েক দিনের বাজার দরের অর্ধেকের চেয়েও কম। কদিন আগেই সাপাহারে যে আম বিক্রি হয়েছিল সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬শ টাকা মণ দরে, সেখানে শনিবার ও রবিবারে সে মানের আম বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে বলে অসংখ্য আম বিক্রেতাগণ জানিয়েছেন। অসহায় আমচাষিদের বক্তব্য, করোনাকে কেন্দ্র করে বাজারে হয়তো একশ্রেণির আম ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তৈরির পাঁয়তারা করতে পারেন। ভবিষ্যতে কোনো ব্যবসায়ী কিংবা ব্যক্তি গোষ্ঠী যাতে আম নিয়ে কোনো সিন্ডিকেট তৈরি করতে না পারেন সেজন্য তারা সর্বক্ষণ প্রশাসনের তদারকি এবং নজরদারি কামনা করেছেন। আড়তের মালিকগণ বলছেন, লকডাউনে ব্যাপারীদের কেনা আম তারা বাইরে বিক্রি করতে পারবেন কি না চিন্ত করে আম কিনছেন না। ব্যাপারীগণ যদি আম ক্রয় না করেন তাহলে আমাদের করণীয় কী? সব মিলিয়ে নওগাঁর সাপাহারের আমচাষিগণ তাদের কষ্টার্জিত উৎপাদিত আম নিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন।
শিরোনাম
- মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা
- আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
- প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
- বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী কামিনী কৌশলের মৃত্যু
- খিলগাঁওয়ে কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
- ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ
- শাকসু নির্বাচন ১৭ ডিসেম্বর
- কুমিল্লায় ৬২ স্কুলের দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর বৃত্তি পরীক্ষা
- প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন
- মৃত্যুর দুই বছর পর বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি
- কালিগঞ্জে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত
- পিরোজপুর সরকারি কলেজে ভাঙচুর: ভিডিওধারণকারী ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার
- মুন্সীগঞ্জে তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচারে লিফলেট বিতরণ
- ‘লিটল স্টারের’ বিচারকের আসনে কারা?
- নাশকতার চেষ্টা, গ্রেফতার আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী
- ‘দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে ময়দানে আপোষহীন থাকতে হবে’
- প্রকাশ হলো মাহমুদ মানজুরের বই ‘গীতিজীবন’
- ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দাবি দুলুর
- গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার
- ‘বিদেশিদের প্রেসক্রিপশনে এদেশের মানুষ চলতে চায় না’