সোমবার, ১৯ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনা ঝুঁকি নিয়েই পশু কেনাবেচা

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

করোনা ঝুঁকি নিয়েই পশু কেনাবেচা

ঈদুল আজহা সামনে রেখে হবিগঞ্জে জমে উঠেছে পশুর হাট। হাটগুলোতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই চলছে বিকিকিনি। হবিগঞ্জ শহরের পৌর পশুর হাটে গত শুক্রবার বিভিন্ন আকারের কয়েক হাজার গরু এসেছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, মূল বাজার, খোয়াই নদী পাড়সহ কামড়াপুর বাইপাস সড়কের মোড় পর্যন্ত পশু রাখা হয়েছে। বিক্রেতা-ক্রেতারা বাজারে গাদাগাদি করে চলাচল করছেন। অধিকাংশেরই মুখে মাস্ক নেই। এতে করোনা ঝুঁকি আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজারে কেনাবেচার দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল। গরু কিনতে আসা রিচি গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মুকুল জানান, বাজারের পরিস্থিতি দেখে মনে হয়েছে করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়বে। কেউ সামাজিক দূরত্ব যেমন বজায় রাখছেন না, তেমনি স্বাস্থ্যবিধিও মানছেন না। তিনি বাজারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তিনি আরও জানান, অন্য বছরের চেয়ে এবার গরুর দাম কম হলেও এ বাজারের পাইকাররা দাম ছাড়ছেন না। তারা বলছেন, করোনার কারণে বাইরে থেকে গরু না আসায় এবার গরুর দাম বেশি। গজারিয়াকান্দি গ্রামের গরুর পাইকারি ব্যবসায়ী জবেদ আলী জানান, খামারিদের কাছে আমরা যখন গরু কিনতে যাই তারা অতিরিক্ত দাম চান। বাধ্য হয়ে আমাদের টার্গেটের চেয়ে বেশি দামে গরু কিনতে হয়। কিন্তু বাজারে আনার পর ক্রেতারা আমদের কেনা দামের চেয়েও কম বলছেন। হাট ইজারাদার মিজানুর রহমান বলেন, বাজারে মাঝারি ও ছোট আকারের গরু বেশি বিক্রি হয়ে হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য বারবার মাইকিং করা হচ্ছে। তারা শুনছেন না। ঝালকাঠিতে হাট জমেনি : ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানান, জেলায় অধিকাংশ কোরবানির পশুর হাট স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বসেছে। তবে গত শনিবার পর্যন্ত বেচাকেনা জমেনি। বিক্রেতারা বলছেন, মূলত ঈদের ২-১ আগে উপচে পড়া ভিড় থাকবে। শনিবার শহরের একমাত্র পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, কিছু গরু আসতে শুরু করেছে। হাটে বসানো হয়েছে জাল টাকা শনাক্তের মেশিন। পুলিশ, আনসার সদস্যরা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। র‌্যাব সদস্যরাও টহল দিচ্ছেন। গরুর হাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি আবদুল হাই বলেন, এখানে গরু বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সর্বোচ্চ সুবিধা দেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর