‘সোনালি আঁশে ভরপুর, ভালোবাসি ফরিদপুর’- এ স্লোগান নিয়েই ফরিদপুর জেলার ব্র্যান্ডিং হিসেবে পাটকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সারা দেশের মধ্যে ফরিদপুরের পাট উৎকৃষ্টমানের এবং উৎপাদন বেশি হওয়ায় ফরিদপুরকে পাটের রাজধানীও বলা হয়। পাটকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় বেশ কয়েকশ পাটকল ও কারখানা। প্রতিবছর জেলায় পাটের উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও এ বছর পাটের লক্ষ্যমাত্রা বেশ কম হয়েছে। মৌসুমের শুরু থেকে শ্রমিক সংকট দেখা দেওয়ায় অনেক কৃষক পাট আবাদ থেকে বিরত ছিল। তাছাড়া মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে অতিবৃষ্টির কারণে পাটের গোড়ায় পানি জমে পচন ধরায় অপরিপক্ব পাট কেটে ফেলতে বাধ্য হয় কৃষক। ফলে এ বছর পাটের ফলন বিপর্যয় দেখছেন কৃষকরা। দেশের পাট উৎপাদনকারী জেলাগুলোর মধ্যে ফরিদপুর অন্যতম। এ জেলার সোনালি আঁশখ্যাত পাটের মান ভালো হওয়ায় সব সময় এ জেলার পাটের চাহিদাও রয়েছে বেশি। কিন্তু এ বছর মৌসুমের শুরুতেই বৈশিক মহামারী করোনাভাইরাসের প্রভাবে জেলায় শ্রমিক সংকট দেখা দেওয়ায় অনেক কৃষকই পাট রোপণ থেকে বিরত ছিলেন। জেলায় দেড় লক্ষাধিক কৃষক পাট আবাদের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। ফলন বিপর্যয়ের কারণে অনেক কৃষকই এ বছর ক্ষতির মুখে পড়বেন। ফরিদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, এবছর জেলায় যেখানে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৮৬ হাজার ২০৬ হেক্টর জমিতে। কিন্তু আবাদ করা হয়েছে ৮৫ হাজার ৭৭ হেক্টর জমিতে। যা গতবারের চেয়েও ১ হাজার ১২৯ হেক্টর জমিতে আবাদ কম হয়েছে। এদিকে, অতি বৃষ্টির কারণে নিচু জমিতে পানি জমে থাকায় পাটের গোড়ায় পচন ধরেছে। ফলে পাটগাছ মরে যেতে থাকায় অপরিপক্ব অবস্থায় পাট কেটে ফেলছেন কৃষকরা। যার ফলে অন্যান্য বছর জমিতে বিঘা প্রতি যেখানে ১০-১২ মণ পাট পাওয়া যেত আর এ বছর বিঘা প্রতি ৫-৭ মণ পাট পাওয়া যাবে বলে ধারণা করছেন কৃষকরা। ফলে পটের ফলন বিপর্যয়ে লোকসানের চিন্তায় দিশাহারা রয়েছে জেলার কৃষকরা। নগরকান্দা উপজেলার বিল্লাল মাতুব্বর, সেকেন মাতুব্বর, আয়নাল প্রামাণিক জানান, তারা এ বছর পাট আবাদ করেননি। শ্রমিক সংকটের কারণে জমি তৈরি করতে না পারায় পাট বুনতে পারেননি। কথা হয় সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের কৃষক রফিকুল ইসলাম, মুন্নাফ শেখ, ছমির শেখের সঙ্গে তারা জানান, গত বছর পাটের দাম ভালো পাওয়ায় তারা এ বছর অধিক জমিতে পাটের আবাদ করেছেন। শুরুতে খড়ার কারণে ফলন ভালো হয়নি। শ্রমিক খরচ বেশি হওয়ায় বপন ও সেচ খরচ বেশি হয়েছে। পরে অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে পাটের গোড়ায় পানি জমে পচনের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে অনেকেই অপরিপক্ব পাট কেটে ফেলতে বাধ্য হয়েছে। পানি আটকে থাকা জমির পাট দ্রুত কেটে ফেলার পরামর্শ দিয়েছে জেলা কৃষি অধিদফতরের উপ পরিচালক ড. মো. হযরত আলী। তিনি জানান, যেসব জমি পানিতে তলিয়ে আছে সেই জমির পাট কেটে না ফেলা হলে পচে নষ্ট হয়ে যাবে। ফরিদপুর জেলায় এ বছর ৮৫ হাজার ৭৭ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে। যা থেকে প্রায় ১ লাখ ৮৭ হাজার ১৭০ মেট্রিক টন পাট উৎপাদিত হবে।
শিরোনাম
- তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বুড়িচংয়ে দোয়া মাহফিল
- ধর্মের দোহাই দিয়ে টিকেট বিক্রি করে কাজ হবে না: তানিয়া রব
- জবিতেও ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে রবিবার
- সোনারগাঁয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মান্নানের সম্প্রীতি সমাবেশ
- ভূমিকম্প: ঢাবিতে রবিবারের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত
- নোয়াখালীতে প্রয়াত ১০৯ বিএনপি নেতাকর্মীর পরিবারকে ক্রেস্ট ও সংবর্ধনা
- তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিনির্মাণে ধানের শীষের বিকল্প নেই: দুলু
- ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
- বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে নারীরা সুরক্ষিত থাকে: শামা ওবায়েদ
- নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
- 'তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে প্রতিটি পরিবারের হাতে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে'
- মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
- বাগেরহাটে কবি হিমেল বরকতের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
- ঢাকায় ভূমিকম্পে নিহত বগুড়ার রাফিউলের দাফন সম্পন্ন
- ‘নির্বাচনকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে’
- বিমান বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা
- বিক্রি হয়ে গেল দ্য টেলিগ্রাফ
- নারায়ণগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
- মিরসরাইয়ে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় ৩১ গরু আটক
- শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
পাটের রাজধানীতে ফলন বিপর্যয়
কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর