বুধবার, ১০ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বরিশালে ১২৩ পয়েন্টে ভাঙন

রাহাত খান, বরিশাল

বরিশালে ১২৩ পয়েন্টে ভাঙন

বরিশাল অঞ্চলের ৯১ নদ-নদীর ১২৩ পয়েন্টে ভাঙন তীব্র হয়েছে। আতঙ্কে নদীতীরের মানুষ বিনিদ্র রাত কাটাচ্ছে। এর মধ্যে আট স্থানে জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। অন্যান্য পয়েন্টের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করেছে তারা। পাউবোর হিসাবে গত বছর বর্ষার সময় বরিশাল অঞ্চলের ৭৬ নদ-নদীর ৮৬ পয়েন্টে তীব্র ভাঙন ছিল। এবার শুকনো মৌসুমের শুরুতেই ৯১ নদ-নদীর ১২৩ স্থানে ভাঙন শুরু হয়। বরিশাল মহানগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে কীর্তনখোলা নদীতীরের মানুষের। এ ছাড়া বাবুগঞ্জের বাহেরচর, রাকুদিয়া, মীরগঞ্জ, বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া, চরকাউয়া, লামছরি, হবিনগর, কামারপাড়া, আটহাজার, কালীগঞ্জ, ইছাগুড়া, বাউশিয়া, জয়নগর, উলানিয়া, দুর্গাপাশা, শিকারপুর, দোয়ারিকাসহ শতাধিক পয়েন্টে ভাঙন তীব্রতর হয়েছে। এসব এলাকায় সহায়সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে শত শত পরিবার। এখনো ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে নদীতীরের মানুষের। এসব কারণে বরিশালে নদী ভাঙন এখন সারা বছরের দুর্যোগে পরিণত হয়েছে। বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. জাভেদ ইকবাল বলেন, ‘নদীতে পানির দীর্ঘস্থায়িত্বের কারণে ভাঙন প্রতিরোধে পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছে না পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ কারণে যথাসময়ে ভাঙন প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। পাউবো গত এক বছরে বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙন প্রতিরোধে জরুরি ভিত্তিতে সাড়ে ৯ লাখ জিও ব্যাগ ফেললেও ভাঙন প্রতিরোধ হয়নি।’ ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি- জিও ব্যাগ ফেলার পর জোয়ারের তোড়ে সেগুলো স্থানচ্যুত হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে ভাঙন প্রতিরোধ হচ্ছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশাল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙন প্রতিরোধে একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। ভাঙনের তীব্রতা থেকে জনগণের সহায়সম্পদ রক্ষায় আরও দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের অপেক্ষায় রয়েছে। এ ছাড়া আরও ১৬টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে নদী ভাঙন প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।’

সর্বশেষ খবর