শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বগুড়ায় ২০ মাস ধরে বন্ধ মা ফাতেমা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ায় ২০ মাস ধরে বন্ধ মা ফাতেমা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

বগুড়ার সারিয়াকান্দি মা ফাতেমা (রা.) মহিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি গত ২০ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করলেও চালু হচ্ছে না কেন্দ্রটি। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ইলেকট্রিশিয়ান মাহফুজুর রহমান জানান গত ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি সারিয়াকান্দিতে প্রতিষ্ঠা লাভ করে মা ফাতেমা মহিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। ২০০৬ সালে কেন্দ্রটি রাজস্ব খাতের অন্তর্ভুক্তি লাভ করে। গত ২০১৪ সালের ১১ জুলাই প্রয়াত আবদুল মান্নান গ্রামীণ অবহেলিত মহিলাদের জন্য সারিয়াকান্দি মা ফাতেমা (রা) মহিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এ কেন্দ্রে সি এন জি চালিত থ্রি হুইলার ড্রাইভিং এবং মোটরসাইকেল মেকানিক্স প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করা হয়। এ ছাড়া কেন্দ্রটিতে গ্রামীণ দরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্ত, বাল্যবিয়ের শিকার মহিলাদের বিভিন্ন দক্ষতামূলক প্রশিক্ষণ দিয়ে চাকরির ব্যবস্থা করা হতো। অনেক অসহায় নারী এখানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে স্বনির্ভর হয়েছেন। এ পর্যন্ত কেন্দ্রটি হতে ১ হাজার ৫০০ জন নারী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। গত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ২৭৯ জন নারী প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে ২১০ জন নারী চাকরি পেয়েছেন। তাদের মধ্যে মোটরসাইকেল সার্ভিস মেকানিক্সে ৯২ জন প্রশিক্ষণ শেষ করে চাকরি পেয়েছেন ৮২ জন। কনজিউমার ইলেকট্রনিক্সে ৯৫ জন প্রশিক্ষণ শেষে চাকরি পেয়েছেন ৬১ জন। ইলেকট্রিশিয়ান কোর্সে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন ৯২ জন চাকরি পেয়েছেন ৬৭ জন। চাকরিরত নারীরা সবাই প্রাণ গ্রুপ এবং ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে কর্মরত আছেন। ৩ মাসের প্রশিক্ষণকালীন সময়ে থাকা খাওয়া ফ্রিসহ ৯০০ টাকা প্রশিক্ষণকালীন ভাতা পান প্রশিক্ষণার্থীরা। কেন্দ্রটির একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ জনবল কাঠামো ১৩ জন। তাদের মধ্যে চারজন বিভিন্ন জেলায় ডেপুটেশনে রয়েছেন। কেন্দ্রটি করোনাকালীন লকডাউনের কারণে গত ২১ মার্চ ২০২০ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা লায়লা পারভিন নাহার জানান, কেন্দ্রটি পুনরায় চালুর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছি।

সারিয়াকান্দি পৌরসভা মেয়র মতিউর রহমান মতি জানান, নদী ভাঙন কবলিত সারিয়াকান্দির অনেক নারী কেন্দ্রটিতে প্রশিক্ষণ শেষে ভালো চাকরি পেয়েছেন। কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় আমাদের এলাকার অবহেলিত নারীরা এখন প্রশিক্ষণ এবং নানা ধরনের সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন। কেন্দ্রটি পুনরায় দ্রুত চালুর জন্য আমরা জোর দাবি জানাই। সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, করোনাকালীন লকডাউনে কেন্দ্রটি বন্ধ ছিল। এটি পুনরায় চালুর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় সংসদের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাহাদারা মান্নান এম পি জানান, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি পুনরায় চালু করতে ইতিমধ্যে আমি ডিও লেটার দিয়েছি। সংসদীয় কমিটিতেও বিষয়টি উপস্থাপন করেছি। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি চালুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশা করছি শিগগিরই কেন্দ্রটি পুনরায় চালু হবে।

সর্বশেষ খবর