মানিকগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সরকারদলীয় নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে সমানতালে লড়ে যাচ্ছেন দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরাও। দল থেকে বহিষ্কারের পরও তারা ভোটের মাঠে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। সদর উপজেলার গড়পাড়া ও জাগীর ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করায় ১১ বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার পরও বেশির ভাগ ইউনিয়নে নৌকার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী প্রার্থীরা বলে জানান বিশিষ্টজনেরা। অটিগ্রাম ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরে আলম সরকার, নবগ্রাম ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীসহ অনেকেই প্রতিপক্ষের দ্বারা নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরের অভিযোগ করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন নৌকার প্রার্থী বলেন, বহিষ্কৃত প্রার্থীরা এত সাহস পান কোথায়? তাদের দলের লোকজনই গোপনে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। এখনই এটা বন্ধ না হলে ফল বিপর্যয় ঘটতে পারে।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন বলেন, ‘শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে ১১ বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা ত্যাগী আওয়ামী লীগার নন। তারা অনুপ্রবেশকারী। স্বার্থের কারণে আওয়ামী লীগে ঢুকেছেন। ঘাপটি মারা এসব লোকের জন্য দলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। দলের কোনো নেতা-কর্মী যদি বিদ্রোহী প্রার্থীর সঙ্গে থাকেন বা কোনো ধরনের সহযোগিতা করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
২৮ নভেম্বর মানিকগঞ্জ সদরের ১০ ইউনিয়নে ভোট। ১০ ইউনিয়নে মোট ভোটার ২ লাখ ১৬ হাজার ৯০ জন। নারী ১ লাখ ৮ হাজার ১১ আর পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮ হাজার ৭৯ জন।