বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

ভোগান্তির ১২ কিলোমিটার

আল-মামুন সাগর, কুষ্টিয়া

ভোগান্তির ১২ কিলোমিটার

দেশের দক্ষিণের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়ক। জাতীয় সড়কের অংশ এ মহাসড়কটি খানাখন্দের কারণে প্রায় এক বছর ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে গর্ত। যততত্র ফেলে রাখা হয়েছে পাথর-বালু। সড়কের কোথাও কোথাও এক-দুই ফুট গভীর বেড তৈরি করা হয়েছে। ফলে এক লেন দিয়ে কোনোভাবে থেমে থেমে চলছে যানবাহন। মহাসড়কের প্রায় ১২ কিলোমিটার অংশে মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। ১২ কি.মি. পথ পাড়ি দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লাগছে। দিন-রাত লেগেই থাকছে যানজট। প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়ক প্রশস্তকরণ চলছে। পুরো মহাসড়কেরই বেহাল দশা। সবচেয়ে নাজুক অবস্থা ১২ কিলোমিটারের। এ অংশটুকু খানাখন্দে ভরা থাকায় যান চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী। এক পাশ বন্ধ রেখে অন্য পাশে গর্ত করে মহাসড়ক টেকসই করার কারণে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর সড়কটি সংস্কারের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৪৭ কোটি টাকা। দুই বছর মেয়াদি এ কাজ আগামী বছরের ২৫ অক্টোবর শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু খুবই ধীরগতিতে চলছে কাজ। সরেজমিন দেখা যায়, কুষ্টিয়া শহরতলীর ত্রিমোহনী এলাকা থেকে সড়কের পিচ সম্পূর্ণ তুলে ফেলা হয়েছে। তাতে নতুন করে ফেলা হয়েছে পাথর ও বালু। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে পাথর। আবহাওয়া যখন শুষ্ক থাকে তখন যানবাহন চলার সময় পুরো সড়ক ধুলায় আচ্ছাদিত হয়ে যায়। রানাখড়িয়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা খুঁড়ে এক পাশে গর্ত করে বেজমেন্ট তৈরি করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম এম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিডেটের প্রকল্প পরিচালক আনিসুর রহমানের দাবি, মাটিতে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় গভীর করে গর্ত খুঁড়ে নিতে হয়েছে। গর্ত করে কাজ করায় এক পাশ আটকে রাখতে হচ্ছে। এ কারণে সারাক্ষণ যানজট লেগে থাকছে। ট্রাকচালক ফরিদ জানান, সড়কের কারণে প্রতিদিন কম হলেও দুই-তিন ঘণ্টা বেশি সময় ব্যয় হয় গন্তব্যে পৌঁছাতে। স্থানীয় সড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, প্রায় দুই বছর আগে গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কটি নির্মাণ করা হয়। তখন ভারী যানবাহন চলাচলের সক্ষমতার বিষয়টি চিন্তা করা হয়নি। ফলে কিছু দিন যেতেই সড়কের বিভিন্ন স্থান উঁচু-নিচু হতে থাকে। বছর না ঘুরতেই খানাখন্দে সড়কটি যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। কুষ্টিয়া সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিরুল ইসলাম বলেন, নির্মাণকাজের গতি কিছুটা কম থাকলেও ইতোমধ্যে ২০-২৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত মেয়াদ আছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর