শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

অভিযোগের পাহাড় মাগুরা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

প্রতিদিন ডেস্ক

নামে-বেনামে সম্পত্তিসহ কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন মাগুরা সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দারুল আলম। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ কর্ম কমিশনসহ বিভিন্ন দফতরে জমেছে অভিযোগের পাহাড়। এরপরও বহাল তবিয়তে আছেন তিনি। থামেনি তার নিয়োগবাণিজ্য। জানা যায়, দারুল আলমের বিস্ময়কর উত্থানের মূলে রয়েছে নিয়োগবাণিজ্য। তিনি অধিদফতরের নিয়োগবাণিজ্য চক্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মাগুরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, নড়াইল, সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনাসহ বিভিন্ন জেলার লোকজনকে টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেন। তার দুর্নীতির অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দারুল আলম মাগুরা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে হিসাব শাখার দায়িত্ব পালনকালে সেখানকার আসবাবপত্র কেনার দরপত্র আহ্বান করলেও কাউকে দাখিল করতে দেওয়া হয়নি। নিজেই নামে-বেনামে দরপত্র দাখিল করে নিম্নমানের মালামাল সরবরাহ করে টাকা হাতিয়ে নেন। ২০০৭ সালে তার দুর্নীতির বিষয়ে মাগুরার তৎকালীন জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেন জুনিয়র পরিসংখ্যান সহকারী ফারুক হোসেন। দুর্নীতি আর নিয়োগবাণিজ্যে দারুল এতটাই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন যে মাগুরার একই পরিবারের পাঁচজন এবং অপর পরিবারের দুজনসহ ১৫ জনকে চাকরি দেন। এদের মধ্যে তিনজন বোন। আশ্চর্যের বিষয় হলো- এদের বয়স ৪০ বছরের ওপরে। দারুল আলমের বিরুদ্ধে ওই তিন বোনকে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি পাইয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তদন্ত শেষে ২০২০ সালে তাকে মাগুরা থেকে পিরোজপুর নেছারাবাদে বদলি করা হয়। পরে এ আদেশ পরিবর্তন করে দারুলকে বদলি করা হয় যশোরের শার্শায়। তিনি কর্মস্থলে যোগদান না করে ওই অদেশের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল-১, ঢাকায় মামলা করেন এবং এখনো স্বীয় কর্মস্থলে বহাল আছেন। গত দুই বছরেও দারুলের মামলার জবাব দেয়নি পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর। মাগুরা সদর উপজেলার রাঘবদা ইউনিয়নের পরিবার কল্যাণ সহকারী মেরিনা সুলতানার বেতন-ভাতা প্রায় চার বছর বিধিবহির্ভূতভাবে আটকে রাখারও অভিযোগ আছে দারুল আলমের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে মেরিনার সব পাওনা দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরিশোধের আদেশ জারি হলেও এখনো পরিশোধ করা হয়নি। এ বিষয়ে মেরিনা বলেন, পাওনা টাকা পেতে হলে অর্ধেক ঘুষ হিসেবে দিতে হবে এমন দাবি করেছেন দারুল আলম। ভারপ্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দারুল আলম বলেন, এসব অভিযোগের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। দারুল আলমের ব্যাপারে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানুর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ খবর