বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

চার বছর অনাবাদি ৫০০ একর

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

চার বছর অনাবাদি ৫০০ একর

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার খিদিরপাড়া ও গাঁওদিয়া ইউনিয়নের খেদের পাড়া, কাজিরগাঁও, পূর্ববুড়দিয়া বনসেমন্ত গ্রামের পাঁচটি বিলের প্রায় ৫০০ একর জমি চার বছর ধরে অনাবাদি পড়ে আছে। জলাবদ্ধতার কারণে এসব জমিতে ফসল ফলাতে না পাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কৃষকরা।

খাল খনন ও কৃষক বাঁচাও এই দাবিতে লৌহজংয়ে খাল দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন অনাবাদি জমির মালিকানাধীন চাষিরা। অভিযোগ রয়েছে, উপজেলার খিদিরপাড়া ইউনিয়নের খেতেরপাতা, খলাপাড়া, বনসেমন্ত, কাজিরগাঁও গ্রামের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র মাধ্যম খাল। এই খাল প্রভাবশালীদের দখলে থাকায় ওইসব গ্রামের কৃষিজমির পানি নামতে পারছে না। ফলে তাদের জমিতে হচ্ছে না কোনো ধরনের চাষাবাদ। এতে কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এর প্রতিবাদ, দ্রুত খাল দখলমুক্ত ও খনন দাবিতে গতকাল অনাবাদি জমিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন কৃষকরা। আবাদযোগ্য জমি চাই এমন দাবি তাদের। জানা যায়, উপজেলার বেশির ভাগ খাল পলি পরে ভরাট ও প্রভাবশালীদের দখলে রয়েছে। ফলে জমিতে আটকে থাকা পানি নামতে পারছে না। কৃষক ওবায়দুল ইসলাম হিমু, সুলতান ব্যাপারী জানান, তিন-চার বছর ধরে আমরা জমিতে কিছু আবাদ করতে পারছি না। খাল দখলদারদের কারণে কৃষি থেকে অন্য পেশায় যেতে বাধ্য হচ্ছি। সরকারের কাছে দাবি যেন দ্রুত খালটি দখলমুক্ত করে পুনঃখনন করা হয়। তবেই আমরা কৃষকরা বাঁচব, দেশের কৃষি বাঁচবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, খালগুলো দখলমুক্ত করার জন্য ইউএনও বরাবর লিখিত চিঠি পাঠিয়েছি। ইউএনও, ইঞ্জিনিয়ারসহ আমি পরিদর্শনও করেছি। কেন খালটি খনন হচ্ছে না- এ বিষয়ে আমি বলতে পারব না। তবে খালগুলো দখলমুক্ত ও খনন করা অতিজরুরি। তিনি বলেন, লৌহজংয়ে ৮ হাজার ২১৫ হেক্টর কৃষিজমিতে আবাদ হতো। এখন ৭ হাজার হেক্টরে আবাদ করা হচ্ছে। বাকি ১ হাজার ২১৫ হেক্টর জমি অনাবাদি পড়ে আছে এবং নদীতে ভেঙে গেছে। ফলে কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। নদীভাঙন ও খাল দখলের কারণে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে কৃষি খাতে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর