চলতি মৌসুমে ঠাকুরগাঁওয়ে লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। জেলার প্রায় সব উপজেলায় চাষিরা এবার লিচুর চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি লিচুর। মৌসুমের শুরু থেকেই আগাম জাতের লিচুতে ভরপুর হয়ে ওঠে স্থানীয় বাজার। ভালো দাম পাওয়ায় খুশি বাগান মালিক ও লিচু চাষিরা। স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এ বছর ঠাকুরগাঁওয়ে লিচুর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৮০৯ মেট্রিক টন। বাগানগুলোর প্রায় ৯০ ভাগ গাছে লিচু ধরেছে। বড় কোনো দুর্যোগ না হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ লিচু পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন তারা। বাগান মালিকরা বলছেন, বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। গত বছর করোনার কারণে ফলন কম হয়েছিল। এবার দাম ভালো পাওয়ায় করোনার সময়ের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে। যদিও শ্রমিক সংকট এবং মজুরি বেশি বলে দাবি করেছেন তারা।
এ কারণে পরিবার-পরিজন সঙ্গে নিয়ে লিচু ভাঙা হচ্ছে। জানা যায়, বাজারের ধরন ও পরিস্থিতি ভেদে লিচুর দাম ওঠানামা করে। গোলাপী জাতের ১০০ লিচু বাজারে ২৫০-৩০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। বর্তমানে বাজারে গোলাপি, বোম্বাই, চায়না থ্রি, চায়না টু ও বেদেনা লিচুর ব্যাপক চাহিদা। বেদানা, চায়না থ্রি ও চায়না টু জাতের লিচুর দাম ১০০ থেকে শুরু করে ১ হাজারের ওপরে রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবু হোসেন বলেন, এবার লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। লিচুর বোঁটায় কোনো প্রকার পোকা নেই। লিচুতে রং মেশানোও হচ্ছে না। বাগানবাড়ি থেকে বাড়িঘর, সব লিচুতে ছেঁয়ে গেছে। চাষিদের প্রত্যাশা, লিচুর এমন ফলনে তারা তাদের লাভের অংশটা তুলতে পারবেন।