বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

পানি বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে মাছ ধরার উপকরণ বিক্রি

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুর অঞ্চলে বর্ষায় পানি বাড়ার সঙ্গে বিক্রি বেড়েছে মাছ ধরার উপকরণ। দেশীয় বাঁশ-বেত দিয়ে মাছ ধরার ফাঁদ তৈরির কারিগর এবং বাড়ির মহিলারা অবসরে এসব উপকরণ তৈরি করে বাড়তি অর্থ আয় করছেন। অন্যদিকে পেশাদার ও মৌসুমি জেলেরা এসব দিয়ে মাছ ধরে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছে। এসব উপকরণ এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন নাম যেমন- ভারং, পলাই, ঢাংগি, ডাড়কি টইয়া, ডিড়ই, বানা, হেঙ্গা ও খোলসুন ইত্যাদি। জানা যায়, গত কিছুদিনের বৃষ্টিতে অনেক স্থানে নদী-নালা ও পুকুর-ডোবায় কিংবা জমি বর্ষার পানিতে ভরে গেছে। এ সুযোগে এসব ফাঁদ রেখে মাছ ধরার উৎসবে মেতে উঠেছে অনেকে। বর্ষা মৌসুমে বেশি ব্যবহার হয় বাঁশের তৈরি ভোরং নামের একটি যন্ত্র। এলাকাভেদে এই যন্ত্রটিকে খোলসুন বলা হয়। আর বই-পুস্তকের ভাষায় বিটে বলা হয়। পানির মধ্যে এই যন্ত্রটি রেখে দেওয়া হয়। চলাচলে ছোট ছোট মাছগুলো বাঁশের তৈরি এই ফাঁদের ভিতরে আটকা পড়ে। এটি গ্রামাঞ্চলে মাছ ধরার জনপ্রিয় মাধ্যম। গতকাল দুপুরে খানসামা উপজেলার পাকেরহাটে দেখা যায়, মাছ ধরার কয়েক প্রকার এসব উপকরণ নিয়ে আছে কারিগররা। পেশাদার ও শৌখিন মাছ শিকারিদের আনাগোনায় জমে ওঠে বাজারটি। একেকটি উপকরণের দাম প্রকার ভেদে ৩০০ থেকে প্রায় ৩ হাজার টাকা। বাজারে উপকরণ কিনতে আসা ছাতিয়ানগড় গ্রামের মশিউর রহমানসহ কয়েকজন জানান, গ্রামের আশপাশের আবাদি জমি ও ছোট ছোট ডোবা নালা বর্ষার পানিতে ভরে গেছে। আর সেখানে দেখা মিলছে বিভিন্ন জাতের দেশি মাছ। বর্ষাকাল শুরু হলেই মাছ ধরি, এটা আমার নেশা। তাই মাছ ধরার জন্য ভোরং কিনতে এসেছি।  ১০ বছর থেকে এ উপকরণ তৈরি ও বিক্রি করেন খানসামার ভা ারদহ গ্রামের সুখচাঁদ। তিনি বলেন, আগের মতো তো আর বাঁশের উপকরণ বিক্রি নেই। এখন মানুষ আধুনিক হয়ে গেছে, তারা প্লাস্টিকের জিনিসপত্র ব্যবহার করেন।

সর্বশেষ খবর