বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

ভাঙনে দিশাহারা মানুষ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

ভাঙনে দিশাহারা মানুষ

ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমতে শুরু করায় গাইবান্ধার ফুলছড়ির বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙন। শুধু থাকার জায়গা নয়, ফসলি জমি, গাছপালা, রাস্তাঘাট বিলীন হলেও কিছু যেন করার নেই নদী তীরের বাসিন্দাদের। ভিটেমাটিসহ সব হারিয়ে দিশাহারা অনেক পরিবার। বার বার আবগত করলেও মিলছে না সমাধান আর স্থায়ী তবে অস্থায়ী সমাধানে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। নদী ভাঙনের কবলে পড়ে শেষ সম্বলটুকুও হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছে নদী পাড়ের বাসিন্দারা। নদীগর্ভে বিলীন হয়ে থাকার ঠাঁইটুকু নাই অনেকের। ভাঙন কবলিত বাসিন্দারা বলছেন, আমাদের কোনো কিছুর দরকার নাই শুধু থাকার জায়গাটা রক্ষা করা এমনটা দাবি করে কান্নাভরা কণ্ঠে বলেন নদী পাড়ের মানুষগুলো। বার বার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে গেলেও কোনো সমাধান পাইনি। তাই এখন নদী পাড়ে সবাই মিলে আল্লাহর দরবারে দোয়া করে প্রতিকার চাইছি। আল্লাহ ছাড়া আর আমাদের দেখবার মতো কেউ নেই। ভাঙন কবলিত বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, রিলিপ সিলিপ কিছুই চাই না আমরা নদী পাড়ের মানুষ। আমরা শুধু চাই নদী ভাঙন রোধ। সবকিছু হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে যেতে যতটুকু বাকি আছে সেটুকুর জন্য সরকার ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করলে জীবনটা কোনোরকম রক্ষা পাবে। এ বিষয়ে ফুলছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, নদী ভাঙন রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হয়েছে। ভাঙন কবলিত এলাকায় আর্থিক সহযোগিতা চেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান বলেন, পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করেছি যত দ্রুত সম্ভব ভাঙন প্রতিরোধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ান থেকে উড়িয়া ইউনিয়ান পর্যন্ত সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় ৫০০ বসতবাড়ি বিলীন হয়েছে। এখনো ভাঙন আতঙ্কে ১ হাজারের বেশি পরিবার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর