নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় আগাম জাতের আমন ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। উঁচু এবং আগাম আলু চাষে উপযোগী জমিতে চারা রোপণ করছেন তারা।

বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুড়াকুটি হাড়িবেচা পাড়ার কৃষক ছফিল উদ্দিন বলেন, ভুট্টার পর ১০ বিঘা জমিতে আগাম আমন চাষ করেছি। বৃষ্টিনির্ভর এ ধান চাষে খরচ কম, উৎপাদন বেশি। ১০৫-১১০ দিনে ফসল ঘরে ওঠে। খড় বিক্রি করে চাষের খরচ উঠে যায়। ধান কেটে আগাম আলুসহ অন্য রবি ফসল চাষ করা যায়। ওই গ্রামের কৃষক হাসেম আলী বলেন, আগাম জাতের ধান চাষ করলে আশ্বিন-কার্তিক মাসে কৃষকের ঘরে খাবার থাকে। এক সময় এ ধানের ফলন ছিল বিঘাপ্রতি ৫-৬ মণ। বর্তমানে প্রতি বিঘায় ১৮-২৫ মণ ধান হয়। কৃষি অফিস জানায়, চলতি বছর ১৪ হাজার ৮৭০ হেক্টর জমিতে আগাম ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ মৌসুমে স্বল্প জীবনকাল ১০৫-১১০ দিনের উচ্চফলনশীল বিনা ১৬, ২০ এর্ব বিভিন্ন হাইব্রিড জাতসহ উফশী জাতের ধান চাষ করছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, উচ্চ ফলনশীল আগাম জাতের ধান চাষ করে কৃষক লাভবান হচ্ছেন। এ অঞ্চলের মাটি উঁচু এবং বেলে-দোআঁশ হওয়ায় আগাম আলু ও আমন চাষের জন্য খুবই উপযোগী। ধান কাটার পর চাষিরা সহজেই আলু চাষ করে থাকেন। আগাম আলুতে অধিক লাভবান হন তারা। ফলে এ ধান চাষে কৃষকের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।