রবিবার, ১৭ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

বন্যার পর বাড়ছে রোগব্যাধি

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

বন্যার পর বাড়ছে রোগব্যাধি

ডুবে যাওয়া ডিউবওয়েলের পানি পান করে অসুস্থ হয়েছেন অনেকে

মৌলভীবাজারের হাওর থেকে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে দুর্ভোগ। হাওর পারের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন পানিবাহিত নানা রোগে। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা ও রাজনগর উপজেলায় বন্যার পানি কিছুটা কমার পর আশ্রয় কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন বানভাসি মানুষ। বাড়িতে যাওয়ার পর অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন পানিবাহিত রোগে। বিশেষ করে ডায়রিয়া ও জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনক। বন্যাকবলিত এলাকার ফার্মেসিতে দেখা দিয়েছে নাপা, হিস্টাসিনসহ বিভিন্ন ওষুধের সংকট। প্রতিদিন হাওর পারের মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি। হাওর এলাকায় ভয়াবহ বন্যায় তলিয়ে যায় টিউবওয়েল ও নলকূপগুলোও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন- ডুবে যাওয়া টিউবওয়েলের ও বন্যার পানি পান করায় বাড়ছে পানিবাহিত রোগ। সরেজমিন কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, জ্বর, কাশি, স্বর্দি ও এলার্জিসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব। এদিকে দীর্ঘ বন্যায় রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাওর এলাকার বাসিন্দাদের। প্রায় ৯০ শতাংশ বাড়ির টিবওয়েল তলিয়ে গেছে। বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। হাকালুকি হাওর পারের বাসিন্দা বশির, মরম আলী ও মনাইসহ অনেকেই বলেন, দীর্ঘদিন বন্যায় আমাদের ঘর নষ্ট হয়ে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি টিউবওয়েল ও বাথরুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির অভাব। সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ বলেন, বন্যাকবলিত এলাকার স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুরো জেলায় ৭৪টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগের সহায়তায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন কাজ করছে।

সর্বশেষ খবর