রবিবার, ৩১ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

ইলিশে সরগরম মহিপুর

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

ইলিশে সরগরম মহিপুর

গভীর সমুদ্রে জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশসহ নানা প্রজাতির মাছ। জেলে, শ্রমিক, ব্যবসায়ীদের হাঁকডাকে এখন সরব কলাপাড়ার আলীপুর মহিপুর মৎস্য বন্দর। হরদম চলছে বেচাকেনা। দিন রাত কর্মব্যস্ততা আড়তগুলোতে। সাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় খুশি আড়তদার ও জেলেরা। বরফ সংকটের কারণে মাছ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ মাছ ব্যবসায়ীদের। চাহিদামতো বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে না পারায় বরফের কিছুটা সংকট রয়েছে বলে জানিয়েছেন বরফ কল মালিকরা। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কয়েক দিন আগেও যেখানে ছিল সুনসান নীবরতা, সেই মৎস্য বন্দর এখন মানুষের কোলাহলে মুখর। গভীর সমুদ্র থেকে একের পর এক মাছ ধরা ট্রলার আসছে। আর টুকরিতে করে শ্রমিকরা মাছ তুলে নিচ্ছেন আড়তে। সেই মাছ বিক্রি করছেন আড়ত মালিকরা। কেনা মাছ প্রক্রিয়াজাত করে ক্রেতারা পাঠাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে। আড়ত ঘাটের সামনে মাছ পরিবহনের জন্য সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে ট্রাক ও পিকআপ। জেলে ও স্থানীয়রা জানান, সাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় জাল নিয়ে নেমেছেন তারা। প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। এসব মাছ তারা স্থানীয় আড়তে বিক্রি করেছেন। বড় সাইজের মাছ ৪৮ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি সাইজের মাছ ২৪-২৫ হাজার ও ছোট সাইজেরগুলো প্রতিমণ বিক্রি হচ্ছে ১৭-১৮ হাজারে। এফবি জুবায়ের ট্রলারের মাঝি আনিসুর রহমান বলেন, নিষেধাজ্ঞার পর সাগরে গিয়ে প্রথম বার জাল ফেলে ৩ লাখ ১২ হাজার টাকার মাছ পেয়েছেন।

তা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় বাজার সদায় নিয়ে আবারও মাছ শিকারের উদ্দেশে গভীর সমুদ্রে রওয়ানা করবেন বলে তিনি জানান। স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী মনির হাওলাদার বলেন, এক সময় মাছ নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে ফেরি পারের অপেক্ষায় থাকতে হতো দীর্ঘ সময়। ফেরিঘাটে যানজটে আটকা পড়ে নষ্ট হয়ে যেত মাছ। সেই মাছের দামও কমে যেত। এখন এই মৎস্য বন্দরের আমুল পরিবর্তন হয়েছে। কম সময়ে পদ্মা সেতু পাড় হয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে পৌঁছে যাচ্ছে দক্ষিণের সামুদ্রিক মাছ। আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, বর্তমানে গভীর সমুদ্রে অনেক ইলিশ ধরা পড়ছে। তবে কিনারে তেমন ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ছোট ছোট ট্রলারের জেলেরা আশানুরূপ মাছ পাচ্ছেন না। জালে প্রচুর মাছ ধরা পড়ায় জেলে, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা খুব খুশি। 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর