কোথাও পিচ ঢালাই আছে, আবার কোথাও নেই। সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ খানাখন্দ। দিন দিন এসব খানাখন্দের আকার বড় হচ্ছে। বৃষ্টির সময় পানি-কাদায় একাকার হয়ে যায় সড়কটি। প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। আহত হচ্ছেন যাত্রীরা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যানবাহন। এ চিত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর-মির্জাপুর সড়কের। প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে এ সড়কে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ছোট-বড় সব ধরনের যানবাহন। ভোগান্তির শিকার হচ্ছে যাত্রীরা। জানা যায়, প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন আখাউড়া স্থলবন্দর, বিজয়নগর ও হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। সড়কটির বেহাল দশার কারণে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কের পাইকপাড়া, বাগদিয়া, পাঁচগাঁও, সোনামুড়া এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বেশকিছু গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিনই এসব গর্তে পড়ে যানবাহনের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। পাশাপাশি যাত্রীরা পড়ছেন ভোগান্তিতে। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমে। প্রায়ই গাড়ির চাকা গর্তে পড়ে যানবাহন আটকে যাচ্ছে। উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান বলেন, রাস্তাটির অবস্থা বলার মতো নয়। বর্তমানে এটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মোস্তাক আহমেদ বলেন, রাস্তা খারাপ থাকায় প্রতিদিনই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে। যাত্রী নামিয়ে ধাক্কা দিয়ে গাড়ি পার করতে হয়। এতে গাড়ির বিভিন্ন যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেয়। তিনি দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করে দুর্ভোগ লাঘবের জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানান। হরষপুর ইউনিয়নের নিদারাবাদ গ্রামের বাসিন্দা ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, এই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করা খুবই কষ্টের। রাস্তার গর্তগুলো দিন দিন বড় হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই পানি জমে। যান চলাচলে মারাত্মক সমস্যা হয়। হরষপুর ইউপি চেয়ারম্যান সারোয়ার রহমান ভূঁইয়া বলেন, ভরা এই সড়কে প্রতিদিনই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। জনগণ দুর্ভোগ মেনে নিয়েই যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন। তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সড়কটির সংস্কার কাজ করার দাবি জানান। উপজেলা প্রকৌশলী আনিসুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, সড়কটি সংস্কারে টেন্ডার ও বরাদ্দ হয়ে ঠিকাদার কাজ শুরু করছিলেন। ঠিকাদারির সমস্যার কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। দ্রুত কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।