সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সিন্ডিকেটমুক্ত বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা গতি ফিরেছে বেনাপোল বন্দরে

বেনাপোল প্রতিনিধি

সিন্ডিকেটমুক্ত বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা গতি ফিরেছে বেনাপোল বন্দরে

ভারতের বনগাঁ পৌরসভার নিয়ন্ত্রণাধীন কালিতলা পার্কিংয়ের সিন্ডিকেটের কবল থেকে মুক্তি পেলেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। ফলে প্রায় ২ যুগের চাঁদাবাজির কথিত রাজত্বের অবসান ঘটল। ভারতের বনগাঁ থেকে বাংলাদেশের বেনাপোল পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিতে সময়  লাগত ৪০-৪৫ দিন। গত দুদিনে পাল্টে গেছে ২০ বছরের এ চিত্র। মাত্র ৩/৪ দিনেই এখন ট্রাক ঢুকছে বাংলাদেশে। ফলে বেনাপোল বন্দরে আমদানি বাণিজ্যে গতি ও স্বস্তি ফিরেছে। বনগাঁয় চাঁদাবাজি ও ট্রাক শ্রমিকদের হয়রানি করার কারণে পশ্চিম বাংলা সরকার কালিতলা পার্কিংয়ের দায়িত্ব সরিয়ে রাজ্যের পরিবহন দফতরকে দিয়েছে। এতে দীর্ঘদিন পর জট খুলল বেনাপোলে পণ্য আমদানিতে। এতদিন ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার আগেই বনগাঁ পৌরসভার কর্তারা জোর করে ট্রাক ঢুকিয়ে দিত কালিতলা পার্কিংয়ে। সেখানে সিরিয়ালের নামে দেড় মাস পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রাক আটকে রাখা হতো। ট্রাকপ্রতি আদায় করা হতো ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তো আমদানিকারকরা। বেনাপোল কাস্টমস, বন্দর কর্তৃপক্ষ, বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের আবেদনে সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিরা ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেন। পরে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত তিনদিন বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা ট্রাক কালিতলা পার্কিংয়ে না ঢুকিয়ে অনলাইনে এন্ট্রি করে সরাসরি চলে আসছে বেনাপোল বন্দরে। তবে সেবা গ্রহণকারী আমদানিকারককে ট্রাকপ্রতি ১০ হাজার ও ট্রাক  চেসিস প্রতি ৫ হাজার রুপি দিতে হবে পশ্চিমবঙ্গ  পরিবহন দফতরকে। বাংলাদেশ সিএন্ডএফ এজেন্ট ফেডারেশনের সভাপতি শামছুর রহমান জানান, গত ৩০ জুলাই অনলাইন এন্ট্রিতে স্পট বুকিং সিস্টেম চালু করা হয়। এতে চলতি সপ্তাহে থেকে কালিতলা পার্কিংয়ে না দাঁড়িয়ে সরাসরি পণ্যবাহী ট্রাক পেট্রাপোল বন্দর হয়ে বেনাপোল ঢুকছে। এতে বাণিজ্যে গতি ফিরেছে।

 বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, দুদেশের সরকারের উদ্যোগে কালিতলা পার্কিংয়ের সিন্ডিকেট থেকে ব্যবসায়ীদের মুক্তি মিলেছে। এখন মাত্র তিনদিনে বেনাপোল বন্দরে ট্রাক ঢুকছে।

সর্বশেষ খবর