শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

টাঙ্গাইলে ধানের চারার হাটে জমজমাট বিকিকিনি

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলে ধানের চারার হাটে জমজমাট বিকিকিনি

টাঙ্গাইলের উপশহর এলেঙ্গার ঐতিহ্যবাহী ধানের চারার হাট জমে উঠেছে। ৩৫ বছরের পুরনো এ হাটে ধুম পড়েছে রোপা আমন চারা বেচাকেনার। তবে সার ও ডিজেলের দাম বাড়ায় প্রান্তিক কৃষক এবং ডিজেলচালিত সেচপাম্প মালিকরা উদ্বিগ্ন। তারা সরকারের কাছে ভর্তুকি দাবি করেছেন। টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, চলতি রোপা আমন মৌসুমে জেলায় ৯৫ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৭২ হাজার ৮১৮ হেক্টরে রোপা আমন চাষ হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন জাতের আমন ধানের চারায় সয়লাব হাট। চাষিরা দর কষাকষি করে চারা কিনছেন। টাঙ্গাইল ছাড়াও সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা চারা কিনে আনেন। সেগুলো জেলার চাষিদের কাছে চাহিদা অনুযায়ী বিক্রি করছেন। হাটে ব্রি ৩৪, ৪৯, ৫২, ৭১, ৭২, ৭৪, ৭৫, ৮৭, বিআর ১১, ২২, ২৩, বিনাধান ৭, ১৭, ২০ এবং স্থানীয় জাত নাজির শাইল, পাইজাম, বিনাশাইল, স্বর্ণা, কালিজিরা, রনজিত, গাইঞ্জা, পাটজাগ প্রভৃতি ধানের চারা পাওয়া যায়। চারা ভেদে প্রতিআঁটি ৪-৮ টাকায় কিনে ৬-১২ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। পৌরসভার পক্ষ থেকে ধানের চারার হাটে খাজনা আদায়কারী রাজু আহমেদ বলেন, এলেঙ্গায় যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো। দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতা-বিক্রেতা এ হাটে আসেন। ১০০০ টাকায় ৪০-৫০ টাকা খাজনা নেওয়া হয়। আবার কম চারা কিনলে অনেকের কাছ থেকে খাজনা নেওয়াই হয় না। কালিহাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মজিদ জানান, এলেঙ্গা ধানের চারার হাট অনেক পুরাতন এবং জেলার অন্যতম। কেউ কেউ শুধু বিক্রির উদ্দেশে ধানের চারা উৎপাদন করেন। আবার অনেকে নিজের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত চারা হাটে বিক্রি করে দেন। যেসব চাষি চারা উৎপাদন করতে পারেন না কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে চারা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করেন তারাই এ হাটের নিয়মিত ক্রেতা। টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আহসানুল বাশার বলেন, সারের দাম বৃদ্ধির কারণে কৃষকের উৎপাদন খরচ বেড়েছে এটা স্বাভাবিক। বিদ্যুৎচালিত সেচ পাম্পে সরকারি ভর্তুকি রয়েছে। যদি ডিজেলচালিত সেচ পাম্প মালিকদেরও ভর্তুকি দেওয়া হয় তাহলে কৃষিখাতে দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়বে না। কৃষকরাও খরচ পুষিয়ে নিতে পারবেন।

সর্বশেষ খবর