শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

থেমে আছে বাইপাস সড়কের কাজ

নির্মাণ শেষ হলে ঘটবে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন

খন্দকার একরামুল হক সম্রাট, কুড়িগ্রাম

থেমে আছে বাইপাস সড়কের কাজ

ভূমি অধিগ্রহণে বিলম্বের কারণে দেড় বছর ধরে থেমে আছে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ কুড়িগ্রামের দাশেরহাট বাইপাস সড়ক নির্মাণকাজ। কুড়িগ্রাম শহরের যানজট নিরসন ও সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহন সহজ করার লক্ষ্যে এ প্রকল্প গ্রহণ করে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। কাজ বন্ধ থাকায় এখন জনমনে দেখা দিয়েছে নানা শঙ্কা। দ্রুত ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম।  সওজ সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে ৬৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৪৭ কিলোমিটার দীর্ঘ কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী সোনাহাট স্থলবন্দর জাতীয় মহাসড়ক প্রশস্ত করার প্রকল্প অনুমোদন হয় একনেকে। চারটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে এই প্রকল্প। প্রকল্পের সামগ্রিক অগ্রগতি ৩৪ ভাগ। ৪৭ কিলোমিটার সড়কের অন্তর্ভুক্ত বীরপ্রতীক তারামন বিবির থেকে দাশেরহাট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার বাইপাস সড়ক। এই সড়ক চালু হলে শহরের যানজট নিরসনের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসার ঘটবে এমন প্রত্যাশা এলাকাবাসীর। সোনাহাট সেতু ও সড়ক নির্মাণ শেষ হলে ভারত থেকে অতিসহজে পণ্য আমদানি করা যাবে। এতে অত্র অঞ্চলের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে। পুরাতন স্টেশন পাড়ার সানরাইজ কিন্ডার গার্টেন স্কুলের শিক্ষক শাহজাহান মিয়া বলেন, বাইপাস সড়কটি চালু হলে শহরে যানজট থাকবে না। সোনাহাট স্থলবন্দর থেকে আসা গাড়ি শহরে না ঢুকে সরাসরি চলে যেতে পারবে। কৃষকের উৎপাদিত সবজি দ্রুত যেতে পারবে রাজধানীতে। তারামন বিবি সড়কের পাশের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর ইসলাম রজব জানান, এ বাইপাস সড়ক চালু হলে কুড়িগ্রামে ব্যবসা-বাণিজ্যের যথেষ্ট প্রসার ঘটবে। দ্রুত ভূমি অধিগ্রহণ করা হোক। সূত্র জানায়, বাইপাস সড়কটির জন্য প্রায় ৪১ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর নানা কারণে ধীরলয়ে এগোচ্ছে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের জুনে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রায় দেড় বছর আগে কার্যাদেশ পেলেও একটি কালভার্ট নির্মাণ ছাড়া আর কোনো কাজ করতে পারেনি।  জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে সমন্বয় করতে বিলম্ব হচ্ছে। ঠিকাদারি সংস্থা আমিনুল ইসলাম প্রাইভেট লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক আরিফুল ইসলাম সেলিম জানান, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অফিস স্থাপন ও মালামাল সংরক্ষণের জন্য তাদের অনেক খরচ হলেও জমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় প্রতিনিয়ত লোকসান গুনতে হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান, দু-এক মাসের মধ্যে অধিগ্রহণ শেষ হবে। সময় নাও বাড়াতে হতে পারে। জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম জানান, সড়কের নকশায় কিছু জায়গায় পরিবর্তন হয়েছে। জমি অধিগ্রহণের অনেক ধাপ অতিক্রম করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত অধিগ্রহণের কাজ শেষ হবে।

সর্বশেষ খবর