মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

বিলের মুখ বন্ধ, ৩০০ বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

বিলের মুখ বন্ধ, ৩০০ বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতা

পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয় দেবীপুর বিএম স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকায়ও -বাংলাদেশ প্রতিদিন

রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌর এলাকায় পুকুর খননকাজের জন্য ডাহার বিলের পানি নিষ্কাশনের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে দেবীপুর বিএম স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠ এবং আশপাশের প্রায় ৩০০ বিঘা আবাদি জমি তলিয়ে গেছে। বছরের চার থেকে ছয় মাস থাকে এ জলাবদ্ধতা। গত চার বছর ধরে সমস্যাটি চলছে। এ নিয়ে কৃষকরা একাধিকবার অভিযোগ দিলেও কোনো সমাধান হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকার প্রভাবশালীরা অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন করে বিলের নালার মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কলেজ মাঠে পানি জমে থাকে। ঠিকমতো ক্লাস করতে পারে না শিক্ষার্থীরা। বন্ধ থাকে খেলাধুলাও। এ ছাড়া মাঠের পাশের জমিতে আমন ধান রোপণ করা যায় না। সরেজমিন দেখা যায়, কলেজের মাঠ পুরোপুরি পানির নিচে। তলিয়ে আছে বিঘার পর বিঘা কৃষিজমি। যেখানে কৃষকরা ধানসহ নানা ফসল উৎপাদন করতেন। ২০১৮ সালের পর থেকে ওই সব জমিতে কোনো আবাদই করতে পারছেন না তারা। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুস সালাম বলেন, ‘কলেজ খুললেও মাঠজুড়ে পানি। পানি পার হয়ে ক্লাসে যেতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। শুধু কলেজই নয়, আশপাশের ২৫০ থেকে ৩০০ বিঘা ফসলি জমি পানির নিচের তলিয়ে আছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় চরম বিপাকে রয়েছেন কৃষক।’ ওই এলাকার কৃষক নুরুল ইসলাম জানান, তাদের এই জমিতে বছরে তিন ধরনের ফসল হতো। এখন শুধু শুকনো মৌসুমে বোরো ধান ছাড়া আর কিছুই হয় না। দুই গ্রামের লোকজনের খেতগুলো বছরে চার থেকে ছয় মাস পানির নিচে থাকে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল রানা বলেন, ‘ডাহার বিলে প্রভাবশালীরা পুকুর খননের কারণে পানি নিষ্কাশনের মুখ বন্ধ আছে। বরাদ্দ পেলে নিষ্কাশনের জন্য নালা তৈরির কথা বলেছিলাম কলেজ কর্তৃপক্ষ ও কৃষকদের। এ বছর ওই এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

সর্বশেষ খবর