রবিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ইকোপার্কে চিত্রা হরিণের মৃত্যু

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

তেঁতুলিয়া ইকোপার্কে গতকাল একটি চিত্রা হরিণ মারা গেছে। জেলা সামাজিক বনবিভাগ পরিচালিত এই ইকোপার্কে এর আগে আরও দুটি হরিণ মারা যায়। ভারসাম্যহীন পরিবেশ, শীতের তীব্রতা ও অবহেলার কারণে হরিণগুলো একের পর এক মারা যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তেঁতুলিয়া বনবিভাগের বিট অফিসার শহীদুল ইসলাম জানান, হরিণটি ভালোই ছিল। হঠাৎ অসুস্থতা হয়ে যায়। পরে সকালে দেখি হরিণটি মারা গেছে।

বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে- তেঁতুলিয়া উপজেলার মহানন্দা নদীর ধারে ঐতিহাসিক ডাকবাংলো চত্বরের পাশে বনবিভাগের সাড়ে ১০ একর জমির ওপর একটি আম বাগানের ভিতর গড়ে ওঠে তেঁতুলিয়া ইকোপার্ক। ২০২১ সালে এই ইকোপার্কে নানা ধরনের প্রাণী সংরক্ষণ ও প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়। এই সময়েই দিনাজপুর বনবিভাগ থেকে এক জোড়া হরিণ নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে নারী হরিণটি একটি বাচ্চা প্রসব করলেও হরিণ শাবকটি মারা যায়। পরে নারী হরিণটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে আবার দিনাজপুর রামসাগর ইকোপার্কে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। পরে আবারও এক জোড়া পুরুষ হরিণ নিয়ে আসা হয়েছে। তিনটি পুরুষ হরিণের মধ্যে বর্তমানে দুটি হরিণ জীবিত আছে। স্থানীয়রা বলছেন, ইকোপার্কটি গড়ে ওঠার পর স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থী ইকোপার্কটি পরিদর্শন করেন। তারা অভিযোগ করে বলেন, ইকোপার্কে নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। অনেক সময় কুকুর ঢুকে পড়ে।

স্থানীয় সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মী আশরাফুল ইসলাম জানান, ‘ইকোপার্ক যেখানে গড়ে উঠেছে সেটি পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এই ইকোপার্ক পরিদর্শন করে। কিন্তু সরকারি উদ্যোগের অভাব আর অবহেলার কারণে ইকোপার্কটিতে প্রাণী মারা যাচ্ছে। এটা দুঃখজনক।’

জেলা বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা উজ্জ্বল হোসেন জানান, মৃত্যুর কারণ উদঘাটনের জন্য দিনাজপুরে ময়নাতদন্ত করা হবে। তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর