মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
কক্সবাজারে লবণ মৌসুম শুরু

অধিক উৎপাদনের আশা চাষিদের

আয়ুবুল ইসলাম, কক্সবাজার

অধিক উৎপাদনের আশা চাষিদের

আবহাওয়া ভালো থাকায় দেশের অন্যতম লবণ উৎপাদন এলাকা কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ৬৫ হাজার একর জমিতে লবণ চাষে নেমেছেন চাষিরা। চলতি নভেম্বর মৌসুমের প্রথম দফায় মাঠ থেকে লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের প্রথমদিক থেকে প্রতিটি মোকামে পুরোদমে লবণ উৎপাদন নিশ্চিত হবে এমনটা জানিয়েছেন বিসিক কক্সবাজার কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। মৌসুমের শুরু থেকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নিরবছিন্নভাবে চলছে লবণ চাষ। এবার কক্সবাজারের চকরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চল, পেকুয়ার রাজাখালী, বাঁশখালীর ছনুয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলার জমিতে নির্ধারিত সময়ের এক মাস আগে লবণ চাষ শুরু হয়েছে। চাষিদের আশা, আবহাওয়া এমন থাকলে এবার লবণের বাম্পার উৎপাদন হবে। সিন্ডিকেট বিদেশ থেকে লবণ আমদানির কারণে পরপর কয়েক মৌসুম চাষিরা বিপুল পরিমাণ লবণ উৎপাদন করেও লোকসান গুনেছেন। এবার সবকিছু লবণ উৎপাদনে সহায়ক থাকায় চাষিদের মুখে ফুটেছে হাসি। লবণচাষি এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এ বছরও মিল মালিকদের একটি সিন্ডিকেট লবণ আমদানির পাঁয়তারা করছে। চাষিদের দাবি, আবারও লবণ আমদানি করলে মাঠপর্যায়ে চাষিরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কক্সবাজার বিসিক সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর নভেম্বরের শুরুতে চাষিরা লবণ উৎপাদনে মাঠে নামেন। তবে এ বছর এক মাস আগে অক্টোবর থেকে মাঠে নেমেছেন চাষিরা। এবার ৩৭ হাজার চাষি লবণ চাষে নিয়োজিত হয়েছেন। মাঠে উৎপাদন কাজে জড়িত আছেন আরও ৭৫ হাজার শ্রমজীবী মানুষ। পরিবহন লোড-আনলোড এবং মিলপর্যায়ে প্যাকেটিং ও বাজারজাত সেক্টর মিলিয়ে দেশীয় লবণ শিল্পে মোট ৫ লাখ মানুষ প্রতি বছর নিয়োজিত থাকেন। চলতি বছর ৬৫ হাজার একর জমিতে লবণ চাষের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, কক্সবাজার সদর, টেকনাফ এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা (আংশিক এলাকা) থেকে ২৩ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বিসিক। কক্সবাজরের লবণশিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলেন, চলতি  মৌসুমে ২৩ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চাষ শুরু করা হয়েছে। গত বছর জমির পরিমাণ ৬৩ হাজার ২৯১ একর থাকলেও এবার চাষের পরিধি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ এ বছর আবহাওয়া বেশ ভালো।

সর্বশেষ খবর