বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ডেঙ্গু আতঙ্কে ঝিনাইদহের দুটি গ্রাম

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু এখন আতঙ্কের নাম। ঝিনাইদহে দিন দিন বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। শহরাঞ্চল নয়, এখন বেশির ভাগ গ্রামাঞ্চলেও এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। মশা নিধনে নেই কোনো সরকারি উদ্যোগ। তাই মশাবাহিত রোগ আতঙ্কে ভুগছে গ্রামাঞ্চলের মানুষ। দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি স্থানীয়দের। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে, জেলায় সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৯২ জন। তবে বেশির ভাগই আক্রান্ত হয়েছে গ্রাম থেকে। সেপ্টেম্বর মাস থেকে আক্রান্তের হার বেড়েছে। শৈলকুপা উপজেলার ডেঙ্গু আতঙ্ক গ্রামের নাম চণ্ডিপুর ও বাজুখালী। পাশাপাশি গ্রাম দুটিতে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু রোগ।

প্রায় প্রতি বাড়িতেই রয়েছে দু-চারজন করে রোগী। ডেঙ্গু আতঙ্কে রয়েছে অত্রাঞ্চলের মানুষ। সরেজমিন দেখা যায়, চণ্ডিপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন। যুবক ছেলেটি বাড়ি থেকেই জ্বরে আক্রান্ত হয়। হাসপাতালে নিয়ে পরীক্ষা করালে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। ডেঙ্গু নেগেটিভ হয়ে বাড়ি ফিরলেও শারীরিকভাবে ছেলেটি এখনো দুর্বল রয়েছে। তার বাড়িতে আরও তিনজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী আছেন। তারা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শুধু সোহাগ হোসেনই নয়, তার গ্রামসহ পাশের বাজুখালী গ্রামে প্রায় ৩০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। ওই গ্রাম দুটিতে গেলে চোখে পড়ে বাড়ির উঠান, বারান্দা কিংবা ঘরের মধ্যে জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের চলছে সেবা-শুশ্রƒষা। কেউ হাসপাতালে আবার কেউ বাড়িতে থেকেই নিচ্ছেন চিকিৎসা। অনেকেই চিকিৎসা নিয়েছেন ঢাকা, রাজশাহী, খুলনাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে। মশা নিধনে প্রশাসনের নেই কোনো পদক্ষেপ। তাই ডেঙ্গু আতঙ্ক বিরাজ করছে ওই এলাকার মানুষের মাঝে। এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. রাশেদ আল মামুন জানান, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবার মান উন্নয়নের পাশাপাশি সচেতনতামূলক সব কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। মশা নিধনসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম।

সর্বশেষ খবর