রবিবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ১০ ইউপি সদস্যের

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সাহেব ফকিরের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ইউনিয়ন পরিষদের ১০ জন সদস্য স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সম্প্রতি জেলা প্রশাসক, নগরকান্দার ইউএনওসহ বিভিন্ন সরকারি দফতরে ১০ ইউপি সদস্যের স্বাক্ষর সংবলিত ওই চিঠি দেওয়া হয়। অভিযোগে বলা হয়, চরযশোরদী ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সাহেব ফকির র্দীঘদিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদে নানা অনিয়ম, অনাচার ও স্বেচ্ছাচারিতা করে আসছেন। চেয়ারম্যান নিজ ক্ষমতা বলে ২০২১-২২ অর্থ বছরে ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দকৃত টিআর-কাবিটা, উন্নয়ন, এলজিএসপি, ওয়ানপার্সেনের থোক বরাদ্দ ও এডিপির কোনো কাজ এখন পর্যন্ত করেন নাই। তাছাড়া নিবন্ধন, ট্যাক্স ও হাট বাজারের আয়ের টাকারও কোনো কাজ করা হয়নি।

ইউনিয়ন পরিষদে বাইরের লোক নিয়োগ করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হোল্ডিং থাকা অবস্থায় জনসাধারণকে বুঝিয়ে নতুন হোল্ডিং লাগিয়ে ১৫০ টাকা করে আদায় করেছেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, সংশ্লিষ্ট ইউপি সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যদের পরিষদের কোনো কাজের বিষয় জানানো হয় না। ইউপি সদস্যদের নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মাসিক মিটিং করেননি চেয়ারম্যান। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, চেয়ারম্যানের বড় ছেলে বিপ্লব জামানের বিরুদ্ধে বাবার ক্ষমতা বলে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, রেশনকার্ড ও ভিজিডির কার্ড দিয়ে উপকারভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সরকারি ঘর বরাদ্দ বাণিজ্য করার অভিযোগ রয়েছে। চেয়ারম্যানের ছেলে বিপ্লব লোকজন নিয়ে পরিষদ দখল করে রাখেন। তিনি (বিপ্লব) ইউনিয়ন পরিষদে বসে জন্মসনদ, প্রত্যয়নপত্র, নাগরিক সনদপত্র ও ওয়ারিশ সনদসহ বিভিন্ন কাগজপত্রে তার বাবার হয়ে সই-স্বাক্ষর করেন। এমন অবস্থায় ইউপি সদস্যদের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়। অভিযোগকারী ইউপি সদস্যরা হলেন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. দেলোয়ার হোসেন, ১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. শেরজন শেখ, ২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. নাছির খান, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সুমন মাতুব্বর, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ফারুক শেখ, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ছানোয়ার হোসেন, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আবু মুছা, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মো. বিল্লাল সেক, ৭-৮-৯ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য পারুল আখতার ও ২-৩-৪ নম্বর ওয়ার্ডের ফাতেমা আক্তার। অভিযোগ সম্পর্কে ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সব মিথ্যা। আমার পরিষদের সব কাজই করা হয়েছে। বিষয়টি ইউএনও স্যার অবগত আছেন। নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মঈনুল হক বলেন, চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ও তার ছেলে বিপ্লবের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ আমি পেয়েছি। এ ব্যাপারে এক সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর