রবিবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

কালিয়াকৈরে একাদশ জাতীয় স্কাউট জাম্বুরির উদ্বোধন

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের মৌচাকে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ৩২তম এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল ও একাদশ জাতীয় স্কাউট জাম্বুরি-২০২৩ শুরু হয়েছে। ‘শাবাশ শক্তির ফোয়ারা’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ১৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া নয় দিনব্যাপী এ জাম্বুরি গতকাল সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এমপি। এ উপলক্ষে সন্ধ্যায় বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মৌচাকে বঙ্গবন্ধু মূল এরিনায় জাম্বুরির জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনকে ঘিরে বঙ্গবন্ধু মূল এরিনার চারদিকে থাকবে নি-িদ্র ও কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্কাউটসের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রধান জাতীয় কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, জাতীয় কমিশনার (জনসংযোগ ও মার্কেটিং) এম এম ফজলুল হক আরিফ, স্কাউটসের ঊর্ধŸতন কর্মকর্তা, সরকারি-বেসরকারি দফতরের বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং অংশগ্রহণকারী স্কাউটরা।

সারা দেশের ৯১৬টি স্কাউট ইউনিটের আট সহস্রাধিক স্কাউট, কর্মকর্তা, আইএসটি রোভার সদস্য, ইউনিট লিডার, কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন দেশ হতে আগত স্কাউটারসহ ১১ হাজার এ ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেছেন। পুরো স্কাউট জাম্বুরিকে মোট চারটি ভিলেজে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি ভিলেজে দুটি করে মোট আটটি সাব ক্যাম্পে বিভক্ত করা হয়েছে। নয় দিনব্যাপী এ ক্যাম্পে স্কাউটদের জন্য থাকছে তাঁবুকলা, হাইকিংনাইট হাইকিং ও ইয়ুথ ভয়েজ, নেইবারহুড, ক্যাম্প ফায়ার, খেলাধুলা ও মেধা যাচাইসহ মোট ২০টি চ্যালেঞ্জ। এসব চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ করে স্কাউটরা মেধা, শারীরিক, মানসিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, আধ্যাত্মিক বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হবেন। ১৯ থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত  প্রায় ১৮১ একর জায়গায় ওই ক্যাম্পে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত স্কাউট সদস্যরা অংশগ্রহণ করেছেন। এতে দেশি-বিদেশিদের সংমিশ্রণে আদান-প্রদান হবে বিশ্ব ভ্রাতৃত্ববোধ এবং একে অপরের কাছে নিজস্ব দেশীয় সংস্কৃতি ও কৃষ্টি কালচার তুলে ধরবেন। যা আমাদের দেশের জন্য ঐতিহাসিক স্কাউট জাম্বুরি হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে এবং অংশগ্রহণকারীদের বাস্তবিক জীবনে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। গাজীপুরে রয়েছে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক, মধুপুর ও ভাওয়াল বনাঞ্চল। এসবের বিষয়ে জেনে ও বাস্তব জীবনে অবলোকন করে অংশগ্রহণকারী স্কাউটরা পঞ্চইন্দ্রিয়কে আরও সমৃদ্ধ করতে পারবেন। আর এসব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে স্কাউটরা বাংলাদেশকে জানতে পারবেন এবং ভ্রমণপিপাসা জন্মানোর পাশাপাশি এ দেশকে নিয়ে যাবে অনন্য উচ্চতায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর