মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক

ভাঙ্গার ৪০ কিলোমিটারই ঝুঁকিপূর্ণ

অজয় দাস, ভাঙ্গা

ভাঙ্গার ৪০ কিলোমিটারই ঝুঁকিপূর্ণ

ভাঙ্গায় মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ যানবাহন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার ৪০ কিলোমিটার অংশই ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। প্রাণ হারাচ্ছেন বহু মানুষ। অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করছেন। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের প্রায় ২০ কিলোমিটার পড়েছে ভাঙ্গা উপজেলায়। এর মধ্যে আজিমনগর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণপাড়া থেকে ভাঙ্গা পৌরসভার হাসামদিয়া পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেস ওয়ে। হাসামদিয়া থেকে হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটারের অধিক দুই লেনের। অন্যদিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের পুখুরিয়া থেকে চুমুরদী ইউনিয়নের বাবলাতলা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দুই লেনের মহাসড়ক। এই মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার গাড়ি চলাচল করে। মহাসড়কের এ অংশ সরু হওয়ায় দুর্ঘটনার বেশি ঝুঁকি থাকে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত এক মাসে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলা অংশে দুটি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২৯ ডিসেম্বর এক্সপ্রেসওয়ের সলিলদিয়া নামক স্থানে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাইভেট কারের আরোহী মা-মেয়েসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। ওই দুর্ঘটনায় আহত হয়ে এখনো চিকিৎসাধীন আছেন প্রাইভেট কারের চালকসহ তিনজন। এর পরদিন ৩০ ডিসেম্বর একই মহাসড়কের ভাঙ্গা পৌর কার্যালয়ের সামনের সড়কে ট্রাকচাপায় মারা যান মোটরসাইকেল আরোহী এক তরুণ। সবশেষ গত রবিবার ভাঙ্গার মুনসুরাবাদ নামক স্থানে গাড়িচাপায় মোটরসাইকেলে থাকা বাবা, মেয়ে ও মেয়ের মামা নিহত হন। এ ছাড়া গত কয়েক বছরে এ রকম অসংখ্য দুর্ঘটনা ঘটেছে এই মহাসড়কে। ফরিদপুর জেলা মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোবহান মুন্সী বলেন, এখনো মহাসড়কে অবৈধ নসিমন, ব্যাটারিচালিত অটো, ভ্যান চলাচল করে। এগুলো বন্ধ করা না গেলে শৃঙ্খলা ফেরানো যাবে না। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৈমুর ইসলাম বলেন, অবৈধ যানচলাচল বন্ধ ও মহাসড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখার চেষ্টা করছি।

সর্বশেষ খবর