শিরোনাম
শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

পানি সংকটে অনাবাদি ২ হাজার একর জমি

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

পানি সংকটে অনাবাদি ২ হাজার একর জমি

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার সোনাটিকি, সুপ্রাকান্দি, কুবঝার, পশ্চিমভাগ, সুবিদপুর ও গোবিন্দপুরের শত শত কৃষক পানির অভাবে চাষাবাদ করতে পারছেন না। এসব এলাকার প্রায় ২ হাজার একর জমি পানি সংকটে অনাবাদি পড়ে আছে। শাখাখালে পানির প্রবাহ কম থাকায় কয়েক বছর ধরে এখানকার কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। স্থায়ীভাবে সমাধানের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। প্রতি বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। জানা যায়, রাজনগরের মুন্সিবাজার ইউনিয়নের সোনাটিকি, সুপ্রাকান্দি, জালাই, ছত্রিসের বন্দ, মাঝের কান্দি, আলাইর ডুগরা, জোয়ালভাঙ্গা কান্দি, বৈরাগির বন্দ, আলগরা, খলখলির বান্ধ, বুড়িঝুড়িপাড় বন্দের প্রায় ২ হাজার একর জমিতে পানি নেই। ট্রাক্টর পড়ে আছে জমিতে। কৃষকরা পানি পেলে জমি চাষ দেবেন এই আশায় আছেন। বীজতলায় চারার কোনোটির বয়স দেড় মাস আবার কোনোটি আর রোপণযোগ্য নেই। চারার পাতা হলুদ হতে শুরু করেছে। উপায় না পেয়ে কেউ কেউ চারা কেটে নিয়ে গরুকে খাওয়াচ্ছেন। জমির সঙ্গে যে সংযোগ নালা রয়েছে তার থেকে অন্তত ১-২ ফুট নিচ দিয়ে শাখাখালের পানি প্রবাহিত হচ্ছে। অথচ এই পানি জমির নালা দিয়ে প্রবেশ করার কথা। খালের পাশে যাদের জমি তারা সেচ দিয়ে ১-২ বিঘা জমি চাষ করছেন। বাকি মাঠ পড়ে আছে শূন্য। কয়েকজন কৃষক গুইর বন্দ ও ইলামের কান্দির বিলে ধান লাগালেও সেখানে পানির অভাবে জমিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। সুপ্রাকান্দি গ্রামের কৃষক সৈয়দ জুলফিকার, তাজুল ইসলাম, খালিছ মিয়া, দুরুদ মিয়া, সৈয়দ মিজান ও সোনাটিকি গ্রামের উজ্জ্বল মিয়া জানান, বছরে একবার তারা ধান চাষের সুযোগ পান। সেই ফসলেই সংসার চলে, ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া করে। কয়েক বছর ধরে শাখাখাল দিয়ে পানির প্রবাহ কম থাকায় ধান চাষ করতে পারছেন না। পানির জন্য প্রতি বছর ধরণা দেন পাউবো অফিসে। তারা শুধু আশ্বাস দেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, ৪৫ দিনের মধ্যে চারা রোপণ না করতে পারলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। পানি ছাড়ার বিষয়টি আসলে পাউবোর নিয়ন্ত্রণে। আমরা কৃষকের সমস্যার কথা তাদেরকে জানিয়েছি। তারা বিষয়টি সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন। পাউবো মৌলভীবাজার কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল জানান, আমাদের পর্যাপ্ত পানি রয়েছে। স্লুইসগেটগুলো খুলে দিয়ে আসার পর উজানের কৃষক নিজেদের স্বার্থ চিন্তা করে আবার সেগুলো বন্ধ করে দেন। ফলে ভাটির দিকে পানি কম যায়। আমার জনবল সংকট রয়েছে। প্রত্যেক গেটে একজন করে রাখা সম্ভব নয়।

সর্বশেষ খবর