সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

পবিপ্রবিতে কর্মকর্তাদের ধর্মঘট

দুমকী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছয় দফা দাাবিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘটের লাগাতার আন্দোলনে স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। চলমান আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী পরিষদ সংহতি প্রকাশ করেছে। গত সোমবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েশন ছয় দফা বাস্তবায়নের দাবিতে কর্মবিরতির পাশাপাশি অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন। গতকাল সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে তিন শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট শুরু করলে কার্যত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম অচল হয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবস্থান ধর্মঘটের সমাবেশে কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক ওয়াজকুরুণী প্রমুখ বক্তৃতা রাখেন।

বক্তারা বর্তমান দায়িত্বরত রেজিস্ট্রারকে অযোগ্য ঘোষণা দিয়ে দ্রুত তার অপসারণসহ সব দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তাকে প্রশাসনের বাইরে বদলির দাবি করেছেন।

এদিকে কর্মকর্তাদের চলমান আন্দোলনের কারণে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিভিন্ন দফতর ছিল প্রায় ফাঁকা। কোনো দফতরেই কর্মকর্তারা না থাকায় স্বাভাবিক কার্যক্রম হয়নি। একাডেমি কার্যক্রমের স্থবিরতা দেখা গেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, ডিন কাউন্সিল ও রেজিস্ট্রারের উপস্থিতিতে ধর্মঘট ডাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছয় সদস্যের প্রতিনিধিকে ভিসি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েল গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, বর্তমান অদক্ষ ও অযোগ্য রেজিস্ট্রারের অপসারণ, প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দফতরে কর্মরত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সরানো, অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নে কমিটি আপডেট করা, সহকারী রেজিস্ট্রার পদের স্কেল ষষ্ঠ গ্রেড এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদেও স্কেল চতুর্থ গ্রেডে উন্নীত করা, অর্গানোগ্রাম কমিটিতে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি রাখাসহ ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ ছোটখাটো দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও এখতিয়ার বহির্ভূত বিষয়গুলোর জন্য সময় চেয়েছেন।

রেজিস্ট্রার কামরুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী বোর্ড ‘রিজেন্ট বোর্ডের’ সিদ্ধান্ত ব্যতিরেকে কিছুই বলা বা করা আইনসিদ্ধ নয়। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পর্যায়োন্নয়নের বিষয়টি ভিসি, রেজিস্ট্রারের এখতিয়ার বহির্ভূত।

সর্বশেষ খবর