রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

শঙ্কা কাটেনি হাওরের কৃষকের

খালিয়াজুরীতে বাঁধ নির্মাণে ধীরগতি

আলপনা বেগম, নেত্রকোনা

শঙ্কা কাটেনি হাওরের কৃষকের

নেত্রকোনার খালিয়াজুরীর হাওর এলাকায় নির্মাণাধীন বাঁধ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

নেত্রকোনা জেলার হাওরাঞ্চলের ফসল রক্ষায় ডুবন্ত বাঁধ নির্মাণ এগিয়ে চললেও খালিয়াজুরী উপজেলার কাজ নিয়ে কৃষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বারবার সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) মাঠে থেকে দ্রুত কাজ করাতে বলে দেওয়ার পরও খালিয়াজুরী উপজেলায় ২২-৩১ জানুয়ারি দেখা গেছে ৮ থেকে ১০ কিলোমিটারজুড়ে কাজের মানুষ নেই। ভেকু পড়ে আছে। খালিয়াজুরী উপজেলায় কাজের গতি নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে সবার মাঝে। সবশেষ গত বৃহস্পতিবার দিনভর দেখা গেছে খালিয়াজুরীর মেন্দিপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের সামনের বাঁধের কাজে কোনো শ্রমিক নেই। অচল পড়ে আছে ভেকু মেশিন। মাটি ফেলা হয়েছে যা তাও ফাঁকা ফাঁকা। কৃষক হেলাল মিয়া, সুন্দর আলী, হেকমত আলীসহ কয়েকজন জানান, ‘ঢিমেতালে খালিয়াজুরীতে কাজ হচ্ছে। মনে হয় না সময়ের মধ্যে শেষ হবে। কোনোভাবে লামছাম দেখিয়ে দেবে। মাটিগুলো শক্ত হবে না। এতে পানি আসলেই বাঁধ আবারও ভাঙবে।’ বোয়ালি গ্রামের আল আমিন কমিনি বলেন, ‘খালিয়াজুরীর পিআইসিগুলোর কয়েকটা মাত্র কাজ করছে। বেশির ভাগই ফাঁকিজুকি। এতে সরকারের অর্থ খরচসহ সংশিষ্টদের কষ্ট বৃথা যাবে।’ জানা যায়, নেত্রকোনার সাতটি উপজেলার মধ্যে সিংহভাগ কাজই খালিয়াজুরীর হাওরে। জেলার ২০৬টি পিআইসির মধ্যে ১১৫টিই এ উপজেলায়। সম্প্রতি পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম নেত্রকোনায় হাওরের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে কাজের অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। খালিয়াজুরীর বিষয়টি নিয়ে বলেছেন, বাঁধ নির্মাণে কারও গাফিলতি থাকলে এবং দুর্নীতি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কৃষকের ধান কোনোভাবেই নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট সবাই হাওরে থাকবে বাকি দিনগুলো। সরজেমিন ঘুরে দেখা যায়, জেলার হাওরাঞ্চলের ৩৮০ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে ২১৬ দশমিক ৭৪ কিলোমিটার ডুবন্ত। এবার ডুবন্ত বাঁধে কাজ শুরু হয়েছে আগে ভাগেই।

সর্বশেষ খবর