সোমবার, ৬ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

তিস্তার চরে কৃষকের হাসি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

তিস্তার চরে কৃষকের হাসি

লালমনিরহাটের বিস্তীর্ণ তিস্তার চরে ব্যাপকহারে গম আবাদ হয়েছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গতবারের তুলনায় বেশি জমিতে গম চাষ করেছেন কৃষকরা। গম চাষে কৃষকের আগ্রহ যেমন তেমন এ মৌসুমে ব্যাপক মুনাফার আশাও করছেন তারা। জানা যায়, তিস্তার চরাঞ্চলে গত বছর যে সব জমিতে তামাক চাষ হতো। এবার সেসব জমি গমের সবুজ পাতায় ছেয়ে গেছে। এখন শুধু ফলনের অপেক্ষা। কয়েক বছর আগে ব্লাস্ট রোগের কারণে কৃষক গম চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। সেই সংকট পেরিয়ে কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে গম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেন চাষিরা। এ ক্ষেত্রে মাঠপর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের ভূমিকাও ছিল প্রশংসনীয়। এই মৌসুমে বাম্পার ফলনের আশা করছে তিস্তা পাড়ের চাষিরা। কৃষি অফিসের সংশ্লিষ্টরা বলছেন এবার জেলার কোথাও ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ দেখা দেয়নি। কৃষক গোলাম রসূল বলেন, আমি ১ বিঘা জমিতে গম আবাদ করেছি। সাধারণত শীতে গম খেত নষ্ট হলেও এবার তেমন ক্ষতি হয়নি। ফলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে। কৃষক আবদুল জব্বার মিয়া বলেন, গত বছর ব্লাস্ট রোগের কারণে গম আবাদ করে লোকসান গুনতে হয়েছিল। এবার কৃষি অফিসের পরামর্শে আবারও গম চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত আবাদ ভালোই আছে। সব ঠিকঠাক থাকলে লাভের মুখ দেখতে পারব। লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক হামিদুর রহমান বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় ৪০০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। কৃষি অফিসের পরামর্শে এই মৌসুমে কৃষকদের গম চাষে আগ্রহী করে তোলা হয়। আমরা তামাক আবাদে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করতে বিকল্প ফসল চাষের জন্য সহায়তার পাশাপাশি উদ্বুদ্ধ করছি। চলতি মৌসুমে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা অনেকগুণ বেড়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর