রবিবার, ২৬ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

মাথা গোঁজার ঠাঁই পাইছি, প্রধানমন্ত্রীর জন্য অনেক দোয়া

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

‘সোয়ামি (স্বামী) মরি (মারা) যাবার (যাওয়ার) পর খুব কষ্টে পড়ি। জমি নাই। মাইনশির (মানুষের) জমিতে মেলা দিন (বহুদিন) ভাঙা ঘরে ছাওয়াদের নিয়া (সন্তান) নিন পাড়ির (ঘুমাতে) পাইনি। এখন মাথা গোঁজার ঠাঁই পাইছি, প্রধানমন্ত্রীর জন্য অনেক দোয়া করি’ কথাগুলো বলছিলেন লালমনিরহাটের পাটগ্রামে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় চতুর্থ পর্যায়ে রাজারহাট আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া বিধবা জান্নাতুন বেওয়া (৫৭)। শুধু বিধবা জান্নাতুন বেওয়া নন। লালমনিরহাটে ২২০টি ঘরে আশ্রয় নিয়ে এমন কথাই বলছেন অসহায় মানুষেরা। অনেকেই বলেন, ঝড় বৃষ্টির দিন আসছে। কী যে কষ্ট হতো, শেখের বেটি পাকা ঘর দিছে, যা কোনো দিন স্বপ্নেও আশা করিনি। এখন আর বৃষ্টিতে ভিজে ঘুমাতে হবে না, অন্তত শান্তিতে ঘুমাতে পারব। গত ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লালমনিরহাটের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২২০টি ঘর উদ্বোধন করেন। ওই দিন জেলার ২২০টি গৃহহীন পরিবারকে জমির দলিল এবং ঘরের চাবি দেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ৪১৬টি, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে তৃতীয় পর্যায়ে ৫১৩টি ঘর নির্মাণ করে মোট ৩৯০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমির দলিল এবং ঘর দেওয়া হয়েছে। চতুর্থ পর্যায়ে ঘর দেওয়া হলো ২২০টি পরিবারকে।

সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় জেলার পাটগ্রাম উপজেলার যারা ছিন্নমূল, গৃহহীন ও ভূমিহীন তাদের জমি এবং ঘর দেওয়া হচ্ছে। এ উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত করতেই এসব কাজ করা হচ্ছে।’ লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমি রেজিস্ট্রেশনের কাজ সম্পন্ন করে পরিবারগুলোর মাঝে দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। বাসিন্দাদের জন্য দুই কক্ষের সেমিপাকা টিনশেড ঘর নির্মাণের পাশাপাশি বিশুদ্ধ খাবার পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ, স্যানিটারি ল্যাট্রিন স্থাপন করা হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর