বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

সড়ক যেন মরণফাঁদ

রাঙ্গাবালী প্রতিনিধি

সড়ক যেন মরণফাঁদ

সড়ক নয় যেন মরণফাঁদ। ইটগুলো ভেঙে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। রাস্তা যেন খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। রাস্তার দুই পাশেই পড়ে আছে ইটের টুকরো। এর মধ্যে চলাচল করছে ছোটবড় বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। তাই প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এমন অবস্থা রাঙ্গাবালী থানা-বাহেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কের। রাঙ্গাবালী থানা থেকে শুরু করে পূর্ব বাহেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার এ সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ইটগুলো উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করতে না পারায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা। ভোগান্তিতে রয়েছেন তরমুজের নগরী খ্যাত রাঙ্গাবালীর তরমুজ চাষিরা। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে স্কুলগামী কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। তাই দ্রুত এ সড়কটি মেরামতের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। জানা গেছে, রাঙ্গাবালী থানাসংলগ্ন আড়াই কিলোমিটার সড়ক থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এইচবিবি দ্বারা দেড় কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করে এলজিইডি। পরে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাকি ১ কিলোমিটারও এইচবিবি সড়ক করা হয়। এতে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে। যার কারণে চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যেই সড়কটির ইটগুলো উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। এরপর আর এ সড়কটি সংস্কার করা হয়নি। দিনের বেলা মানুষ চলাচল করলেও রাতের আঁধারে খানাখন্দে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি স্থানীয় যানবাহনগুলোও শিকার হয় দুর্ঘটনার। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির ওপর নির্ভর পূর্ব বাহেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গাবালী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ছোট বাইশদিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা, আমলিবাড়িয়া ইসলামিয়া সিনিয়র মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। শুকনো মৌসুমে কোনোভাবে চলাচল করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। ঝুঁকিপূর্ণ সড়কটিতে স্বাভাবিকভাবে যান চলাচল করতে না পারায় দূরের পথ থেকে এসে স্কুল-কলেজ পড়–য়াদের ক্লাস করতে কষ্ট হচ্ছে। অনেকের আবার বন্ধ হয়ে যায় স্কুল-কলেজে আসা-যাওয়া। এ ছাড়া এ এলাকার মানুষ কৃষিনির্ভর। কৃষককে তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিক্রির জন্য উপজেলা সদর, জেলা সদর ও গলাচিপা নিয়ে যেতে সীমাহীন কষ্ট ভোগ করতে হয়। সড়কটিতে বড় বড় খানাখন্দ থাকায় কৃষকের কৃষিপণ্য যানবাহন মালিকরা বহন করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ব্যবসায়ী ও কৃষকদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কের মাঝখান যেন জলাশয়ে পরিণত হয়।

প্রতিনিয়তই সেখানে হাঁটুপানি জমে থাকে। ফলে জনসাধারণের দুর্ভোগ আরও চরম আকার ধারণ করে। রাঙ্গাবালী সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান মামুন বলেন, রাস্তাটা দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দ হয়ে পড়ে আছে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় নক করেছি। কিন্তু রাস্তাটির কোনো সমাধান করতে পারিনি। এটা একটি জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। রাস্তাটি না থাকায় মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান বলেন, এটি অবশ্যই একটি জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। এ রাস্তার ওপর নির্ভর করে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া। এটা এখন কোন অবস্থায় রয়েছে সে বিষয় আপাতত আমি বলতে পারছি না। তবে এতটুকু বলতে পারি, আপাতত এ রাস্তার ব্যাপারে কোনো সুখবর আমার কাছে নেই।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর