শুক্রবার, ২৬ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গলাকাটা বাণিজ্য

দুমকী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গলাকাটা বাণিজ্য

দুমকী উপজেলা সদরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার

দুমকীতে নিয়ম-নীতি না মেনে যেখানে সেখানে গড়ে উঠেছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্যাথলজিক্যাল টেস্টে সরকার নির্ধারিত মূল্যের পাঁচগুণেরও বেশি টাকা আদায় করা হচ্ছে। অদক্ষ ও হাতুড়ে প্যাথলজিস্ট, টেকনেশিয়ান ও এক্স-রে টেকনেশিয়নের মাধ্যমে ভুল রিপোর্ট দেওয়ার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অগ্রাহ্য করে গড়ে ওঠা এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কাক্সিক্ষত সেবার পরিবর্তে রোগীরা প্রতিনিয়ত হয়রানি, আর্থিক ক্ষতি এমনকি ভুল চিকিৎসার শিকার হচ্ছেন। মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে দু-একটা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে শোকজ বা সাময়িক বন্ধ করা হলেও কয়েক দিন পর তারা অফিস ম্যানেজ করে আবার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। জানা যায়, উপজেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় সাত-আটটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এদের অধিকাংশের সরকারি অনুমোদন নেই। দুমকী উপজেলা হাসপাতালে এক্স-রে মেশিনটি দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে অকেজো। নতুন এক্স-রে মেশিন এলেও তা দুই বছর ধরে প্যাকেটবব্ধ পড়ে আছে। প্যাথলজিতেও রয়েছে রিয়েজেন্ট সংকট। এ অযুহাতে রোগীদের সরকারিভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে না। প্রয়োজনীয় পরীক্ষার জন্য তারা প্রাইভেট ক্লিনিক ও প্যাথলজি সেন্টারে যেতে বাধ্য হন। এ সুযোগে প্রাইভেট ক্লিনিক ও প্যাথলজি এরকম গলা কাটা মূল্য আদায় করছে। উপজেলার মুরাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মমতাজ বেগম অভিযোগ করেন, সম্প্রতি তিনি জ¦রাক্রান্ত হলে ডাক্তারের নির্দেশনা মতে পপুলার প্যাথলজি সেন্টারে টেস্ট করান। টেস্ট রিপোর্ট অনুসারে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থতার বদলে তিনি আরও অসুস্থ হন। ভুল রিপোর্টের কারণে আরও অসুস্থ হওয়ার পাশাপাশি আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তিনি। দি পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক কাম টেকনিশিয়ান জাকির হোসেন হাওলাদার বলেন, সরকারি মূল্য তালিকা আমাদের দেয়নি। ভুল রিপোর্ট প্রসঙ্গে বলেন, কেউ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়, তবে সব সময় সতর্ক থেকে প্যাথলজিক্যাল টেস্ট ও রিপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর শহীদুল হাসান শাহীন বলেন, অনুমোদনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর