বগুড়ার শেরপুরে অবাধে লুট হচ্ছে ফসলি জমির মাটি ও বালু। সব মহলকে ম্যানেজ করে মাটি-বালু লুটের মহোৎসবে মেতেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। প্রশাসন বারবার অভিযান চালিয়েও তাদের থামাতে পারছেন না। দিনে-রাতে ড্রেজার ও খননযন্ত্রের মাধ্যমে ফসলি জমি থেকে মাটি-বালু কেটে বিক্রি করছেন তারা। এতে শত শত বিঘা কৃষি জমি নষ্ট হচ্ছে। কমতে শুরু করেছে উপজেলার আবাদি জমির পরিমাণ। পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব এবং ঘরবাড়ি ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে। কৃষি জমির সর্বনাশ করে অবাধে কাটা মাটি যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। বালু ব্যবহার হচ্ছে নিচু জায়গা ভরাটসহ নানা কাজে। অতিরিক্ত মাটি-বালু পরিবহন আর ওভারলোড ড্রাম ট্রাক ও ট্রাক্টর চলাচলের ফলে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। ধুলা-বালিতে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। জানা যায়, উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের শুভগাছা ও ভাতারিয়া গ্রাম। এই দুই গ্রামের ফসলি মাঠে কিছুদিন ধরে মাটি-বালু তোলা হচ্ছে। মাটি ব্যবসায়ীরা প্রথমে বিশাল মাঠের মাঝখানে কম দামে জমি কেনেন। এরপর সেই জমি থেকে শুরু করেন মাটি বিক্রি। ড্রেজার মেশিন বসিয়ে রাতের আঁধারে তুলছেন বালু। এতে বিশাল গর্ত তৈরি হচ্ছে। স্বাভাবিক কারণে আশপাশের জমি ভাঙতে শুরু করে। এরপর ভয় দেখিয়ে এসব ফসলি জমি কিনে রীতিমতো মাটি-বালু তোলা হয়। এভাবে কৃষি জমির সর্বনাশ করছে চক্রটি। কৃষক আবদুল হামিদ জানান, আমার পাশের ছয় বিঘা জমি কিনে মাটি-বালু তোলা হচ্ছে। এ কারণে সেখানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। আমার দুই বিঘা জমিও ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ ছাড়া সড়কের পাশের জমিগুলোতেও ট্রাক থেকে মাটি-বালু পড়ে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। খামারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মোমিন মহসিন জানান, মাটি পরিবহনের ওভারলোড ট্রাকের কারণে গ্রামীণ সড়ক নষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিদের জানানোর পর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাটি-বালু তোলা বন্ধ করে দেয়। এর দু-এক দিন পর আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তা মাসুদ আলম জানান, ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কাটার কারণে উর্বরাশক্তি হ্রাস পায়। বালু তুললে ধসে গিয়ে বড় বড় গর্ত হয়ে কৃষি জমি বিনষ্ট হয়। যে কোনো মূল্যে জমি রক্ষা করতে হবে। কারণ কৃষি জমি কমলে উপজেলায় খাদ্যের সংকট দেখা দেবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা সুলতানা জানান, অনুমতি ছাড়া জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। ফসলি জমি কেটে মাটি-বালু বিক্রির খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। জরিমানাসহ কয়েকটি খননযন্ত্র জব্দ করা হয়েছে। অভিযান চলমান রয়েছে। অভিযুক্ত লাভলু মিয়া জানান, তিনি কোনো অপরাধ করছেন না। জমিতে পুকুর খনন তেমন দোষের কিছু নয়। এ ছাড়া ব্যবসা করা কোনো অবৈধ কাজ নয়।
শিরোনাম
- মোবাইল দিয়েই প্রফেশনাল ছবি তুলবেন যেভাবে
- জয়পুরহাটে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- বাড়িতে ঢুকে পড়ছে ভালুক, সেনা মোতায়েন
- বন্যায় ডুবতে পারে এশিয়ার যে দেশ, জারি সতর্কতা
- ডিজিটালেই ভবিষ্যৎ: নতুন উচ্চতায় নিউইয়র্ক টাইমসের আয়
- সরকার না পারলেও বিএনপি নির্বাচনের আবহ তৈরি করতে পেরেছে : জিল্লুর রহমান
- যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে গিয়ে বিপদে অ্যাঞ্জেলিনা
- সংগীতের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়, পর্দায় ফিরছেন মাইকেল জ্যাকসন
- ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাজাখস্তান
- কীভাবে চালু করবেন ফোনে ভিওএলটিই ফিচার
- ধ্বংসস্তূপে পরিণত ফিলিপাইন, এবার বিপর্যয়ের মুখে ভিয়েতনাম
- ইরানে ইসরায়েলি হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন ট্রাম্প
- এবার ভিয়েতনামে তাণ্ডব চালাচ্ছে কালমেগি
- দুই বছরের লড়াই শেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত আরএসএফ
- চকরিয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধ নিহত
- সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল জাতিসংঘ
- জুলাই সনদের ঐকমত্যের আইনানুগ বাস্তবায়নের আহ্বান বিএনপির
- আর্থিক খাতে জলবায়ু ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় নির্দেশিকা জারি
- দুই ভাইয়ের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ
- জরুরি প্রয়োজন ছাড়া চিকিৎসকদের বদলি-পদায়ন আপাতত বন্ধ