জাতীয় শোক দিবসে পণ্যসহ মনোহারি দোকানঘর উপহার পেয়ে ১০ জন ভিক্ষুকের জীবন বদলে যাওয়ার গল্প শুরু হলো। অন্যের দুয়ারে যাদের ভিক্ষা করে জীবন চলত তাদের এখন থেকে নিজের আয়ে জীবন চলবে। ভিক্ষুকদের বিকল্প কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসন করার লক্ষ্যে জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে গতকাল দুপুরে বগুড়া জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে জেলা সমাজসেবা অধিদফতর এ আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে দোকানঘরগুলো হস্তান্তর করেন বগুড়া-৬ (সদর) আসনের এমপি রাগেবুল আহসান রিপু। জেলা সমাজসেবা অধিদফতর সূত্র জানা যায়, ভিক্ষাবৃত্তিকে নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাজসেবা অধিদফতরের মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। এ লক্ষ্যে চলতি বছর ২৭ জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এর মধ্যে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ১০ জনকে দোকানঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়া হলো। এ ১০ উপকারভোগীরা হলেন- সদরের শেরে বাংলা নগরের নাজমা বেগম, মালগ্রাম দক্ষিণপাড়ার ফজর আলী, পূর্ব গোদারপাড়ার মমিন হোসেন, আকাশতারার হারুনুর রশিদ, জয়পুরপাড়ার আরিফুল ইসলাম, নামুজা আদর্শপাড়ার বাবুল মোল্লা, গাবতলী উপজেলার লাংলুহাটের জাহিদুল ইসলাম, জয়ভোগা গ্রামের আছমা, শাজাহানপুরের রানীরহাটের ঈমান আলী, কামারপাড়ার আবদুল জলিল। গাবতলী উপজেলার লাংলুহাটের জাহিদুল ইসলাম জানান, তার কোনো আর্থিক তহবিল না থাকায় এবং বয়সজনতি কারণে দিনমুজুরের খাটুনির কাজ করতে না পারায় ভিক্ষা করে তিনবেলা খাবার জুটে নিত। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে মালামাল দিয়ে একটি দোকান দিয়েছেন। এ দোকান সে নিয়মিত করে নিজের আয় সৃষ্টি করে নেবেন। দোকান চালিয়ে নিজের খাবারের ব্যবস্থা করে নেবেন। তিনি জানান, এখন আর তার তিনবেলা খেতে পড়তে সমস্যা হবে না। নিজের পরিবারকে তিনি সহযোগিতা করতে পারবেন। তিনি বলেন এখন থেকে তার জীবন বদলে যাবে। নিজের আয় আর নিজের পায়ে দাঁড়ানো। দোকান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপপরিচালক আবু সাইদ কাওছার রহমানের ব্যবস্থাপনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মজনু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জেলার সাবেক কমান্ডার মো. রুহুল আমিন বাবলু।
