জলাবদ্ধতায় জেলার রাজনগর উপজেলার কাউয়াদিঘী হাওর এলাকার কয়েক হাজার বিঘা আমন জমিতে চাষাবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ওই এলাকার কৃষকরা। স্থানীয়রা বলছেন, মৌলভীবাজার জেলায় বন্যার পানি নদী থেকে কমলেও কমেনি হাওরে। উল্টো হাওরে পানি বৃদ্ধি পেয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে চলতি আমন মৌসুমে কাউয়াদিঘী পাড়ের এসব জমিতে চাষাবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। কৃষকরা বলছেন, কাশিমপুর পাম্প নিয়মিত পানি সেচ করলে তাদের এমন সর্বনাশ হতো না।
সরেজমিন রাজনগর উপজেলায় বন্যায় আক্রান্ত ফতেহপুর, উত্তরভাগ, মুন্সিবাজার ও পাঁচগাঁও ইউনিয়নের কুবঝা, চাতলার, ছোট, কেউলার, দুলিঝুরা, সারমপুর এলাকায় দেখা যায় খেতে ২ থেকে ৩ হাত পানি রয়েছে। পাঁচগাঁও ইউনিয়নের চাতলা এলাকার কৃষক জুয়েল মিয়া, জামাল মিয়া, খায়রুল আলী বলেন, গত বছর এ সময় আমরা আমনের চারা রোপণ শেষ করেছিলাম। কিন্তু এ বছর কাশিমপুর পাম্পে পানি সেচ না হওয়ায় এখনো জমিতে ২ থেকে ৩ হাত পানি রয়েছে। তাই জমিতে চাষাবাদ করতে পারছি না। আমাদের এলাকার বেশির ভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। কৃষিই আমাদের জীবিকার একমাত্র মাধ্যম। এ মৌসুমে আমন আবাদ করতে না পারলে আমরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হব। কেউলার কৃষক হুমায়ুন বলেন, আমাদের এলাকার জমির একই অবস্থা। আমার প্রায় ১০০ বিঘা জমির আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে জানতে রাজনগর উপজেলা কৃষি অফিসে গেলে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে আমন চাষাবাদ হচ্ছে এমনটি তাদের জানা নেই। আপনার মাধ্যমে অবগত হলাম। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মুমিন বলেন, বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে অনেক সময় পাম্প চলে না। গত ১০/১৫ দিনের মধ্যে পাম্প চলছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাম্প সচল আছে। জেলা প্রশাসক ড. ঊর্মি বিনতে সালাম বলেন, বিষয়টি অবগত হলাম। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব।