বগুড়ায় বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক আবদুল বাকী হত্যাকান্ডের ১০ বছর পর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১৮ নেতাকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। বুধবার রাতে আবদুল বাকীর বাবা ইয়াকুব আলী বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় এ মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে আছেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর কুমার রায়, দপ্তর সম্পাদক আল রাজী জুয়েল, যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মাশরাফী হিরো, জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার রায়, বেনজীর আহম্মেদ ও মশিউর রহমান, সজীব সাহা, আতাউর রহমান আতা, স্বপন সরকার।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৪ সালের ২৪ জানুয়ারি শিক্ষক আবদুল বাকীর বিয়ের দিন ধার্য ছিল। ২১ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাসরঘর সাজানোর ফুল কিনতে শহরের সাতমাথা ফুলপট্টিতে যান তিনি। এ সময় আসামিরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ফুলপট্টিতে বাকীকে আসামিরা ঘিরে ধরেন। তারা বাকীকে ছুরিকাঘাত করে। আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে উপর্যুপরি ছুরিকাহত এবং রড-লাঠি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, লাশ দাফনের পর বগুড়া সদর থানায় মামলা দিতে গেলে তৎকালীন শাসক দলের নেতার চাপে পুলিশ সাদা ও হলুদ কাগজে স্বাক্ষর নেয়। সেইসঙ্গে মামলা না করার জন্য হুমকি দেন। তাই দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর এই মামলা করা হলো।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, বাকী হত্যাকান্ডের ঘটনায় বুধবার রাতে সদর থানায় মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।