সারিয়াকান্দিতে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে জোরপূর্বক বানানো মডেল মসজিদে মুসল্লিরা নামাজ পড়তে যান না। মসজিদটি জনবহুল এলাকায় করা হয়নি। মসজিদের দেয়ালে ফাটল আর নিম্নমানের নির্মাণ কাজের প্রমাণও মিলছে এ মসজিদে। জানা যায়, ১ একর ৮১ শতাংশ জমিতে গড়ে উঠেছে মসজিদ। এ জমি পীরপাল দেওয়ানের নামে জিম্মাদার হিসেবে সিএস রেকর্ড রয়েছে। সেই রেকর্ডে আব্বাদ আলী ফকির ও বামতুল্লাহ ফকিরকে দখলদার দেখিয়ে তাদের নামে জমির অংশ বণ্টন করা হয়েছে। পীরপাল দেওয়ানের কোনো বংশধর না থাকলেও আব্বাদ আলী ফকির এবং বামতুল্লাহ ফকিরের বংশধর রয়েছে। পীরপাল দেওয়ান এ সম্পত্তিতে প্রতিবছর ওরস আয়োজন করতেন। এ সময় বিশালাকার ফাঁকা জায়গায় এলাকাবাসীর অনুরোধে এখানে ঈদের নামাজ শুরু করা হয়। এরপর ২০১৮ সালে সাবেক এমপি মরহুম আবদুল মান্নান এখানে মডেল মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু করেন। গত ২০২১ সালের ১৩ জুন জোরপূর্বক অবৈধ দখল ও বিক্রয় বন্ধ করার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেন তফসিল সম্পত্তির স্বত্ব মালিকের পক্ষে পৌর এলাকার ধাপগ্রামের সোলায়মান আলী।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, এ সোলায়মান আলীরা তাদের পক্ষে পাওয়া সত্ত্বেও সাবেক এমপির হস্তক্ষেপে ঈদগাহ মাঠের পূর্ব পাশে গণকবর এবং ঈদগাহ মাঠের ভিতরে জোরপূর্বক মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কোনো সুরাহা তিনি পাননি। তাই মডেল মসজিদের নামে কোনো দলিল পত্রাদিও প্রস্তুত হয়নি। ফলে মডেল মসজিদটি এখনো ওয়াক্ফ হয়নি। এদিকে মসজিদটি কোনো জনবহুল বা মেইন সড়কের কাছে নির্মাণ হয়নি। এটি পৌর এলাকার অনেক ভিতরে নির্মাণ করা হয়েছে। যে কারণে আশপাশের মুসল্লিরা এখানে নামাজ পড়তে আসেন না। তারা এ মসজিদের পাশে ভিন্ন একটি মসজিদ নির্মাণ করেছেন।