অকালবন্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়ণপুর ও আলাতুলী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। ভারতের ফারাক্কা ব্যারাজের প্রায় সবকটি গেট খুলে দেওয়ায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। গবাদি পশু নিয়ে স্থানীয়রা বিপাকে পড়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। এ এলাকায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ নদী ভাঙন। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে দেড় হাজার একর কলাইয়ের খেতসহ শত শত একর সবজি খেত।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ভারতের ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেওয়ায় পদ্মা তীরবর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জ চরাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে থাকলেও নিম্নাঞ্চল হওয়ায় ডুবে গেছে সদর উপজেলার নারায়ণপুর ও আলাতুলী ইউনিয়নসহ কয়েকটি এলাকার শত শত বাড়িঘর। মানুষ বাড়ি ছেড়ে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। কেউ কেউ আবার বাড়িঘর ভেঙে সরিয়ে নিচ্ছেন নিরাপদ জায়গায়।
স্থানীয়রা জানান, এক সপ্তাহ ধরে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন তারা। গবাদি পশু নিয়ে তারা পড়েছেন বিপাকে। বন্যায় বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি, আমবাগান ও বাড়িঘর পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। তারা সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন।
নারায়ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন ও ওয়ার্ড সদস্য বেনজির আহমেদ জানান, বর্তমানে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে দেড় হাজার একর কলাইয়ের খেত। এ এলাকায় ফসল বলতে কলাই এবং ইরি ধান। কলাইয়ের খেত ডুবে যাওয়ায় কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এ ছাড়া এক মাস আগে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা অন্যত্র বাড়িঘর সরিয়ে নিলেও এখন তারা বন্যার কবলে পড়ে অসহায় দিনযাপন করছেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. তাছমিনা খাতুন বলেন, বন্যার্তদের ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিধিদের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বন্যা উপদ্রুত এলাকায় দ্রুত সরকারি ত্রাণসহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।