বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বাঙালি নদীর পানির তোড়ে বিলীন হয়ে যাওয়া দেড় কিলোমিটার সড়ক সম্প্রতি গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ করেছেন। এতে দেড় শতাধিক পরিবারের ভোগান্তির অবসান হয়েছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের চর পাইকপাড়া গ্রামে এই সড়ক নির্মাণ করা হয়। সড়ক দিয়ে এখন সরাসরি জেলা উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন এলাকাবাসী। এর আগে সেখানে দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সড়ক ছিল; যা বাঙালি নদীর ভাঙনে একসময় বিলীন হয়ে যায়।
জানা যায়, বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের চর পাইকপাড়া গ্রামটি ছিল নদীতে ডুবে। কয়েক দশক ধরে নদীর পানিতে ডুবে থাকার পর গত চার বছর আগে চর পাইকপাড়া গ্রামটি জেগে ওঠে। এরপর আগের বাসিন্দারা সেখানে পরিবারপরিজন নিয়ে বসতি গড়তে থাকেন। বর্তমানে এ গ্রামে দেড় শতাধিক পরিবারের ৪০০ জনের বেশি মানুষের বসবাস। তবে এ গ্রামে যাতায়াতের জন্য কোনো সড়ক ছিল না। গ্রামবাসী জমির আইল দিয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতেন। সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল কদ্দুস কাইয়ুম বলেন, সড়ক না থাকায় এ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগের কোনো শেষ ছিল না। সরকারিভাবে সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নিলেও তা হয়নি।
তাই গ্রামবাসী স্বেচ্ছায় সড়ক নির্মাণ করেন।
বর্তমান ইউপি সদস্য আলমগীর কবির বলেন, সড়কটি পাইকপাড়া বাঙালি নদীর খেয়াঘাট থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার লম্বা এবং প্রস্থ প্রায় ৩০ ফুট।
সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী তুহিন সরকার বলেন, সড়কটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে গ্রামবাসীর চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় প্রকল্প নেওয়া হবে।