প্রকৃত চাহিদার বিষয় বিবেচনায় না রেখেই পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় যশোরে মৎস্য ও ফুল সেক্টরের জন্য গড়ে তোলা হয় তিনটি বিক্রয় কেন্দ্র। প্রায় ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি এ অবকাঠামো আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন হলেও সেগুলো বছরের পর বছর অব্যবহৃত পড়ে আছে। সংশ্লিষ্ট চাষিরা বলছেন, উন্নয়নের নামে লুটপাট করতেই এসব স্থাপনা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এগুলো আদৌ চাষিদের কোনো কাজে আসবে কি না সে বিষয়টি ন্যূনতম বিবেচনা করা হয়নি। যশোর শহরের চাঁচড়া এলাকায় ৮০ শতক জমিতে ১৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয় মাছের পোনা বিক্রয় কেন্দ্র। নির্মাণকাজ শেষে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর ভবনটি হস্তান্তর করে মৎস্য বিভাগের কাছে। সরেজমিনে দেখা যায়, ভবনের নিচতলায় কার্পজাতীয় মাছের পোনা বিক্রির জন্য ১১ হাজার বর্গফুট এবং দোতলায় দেশি মাছের পোনার জন্য ৭ হাজার ৯০০ বর্গফুট জায়গা রয়েছে। উভয় স্থানে শাওয়ারিং ও অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা আছে। বিকল্প বিদ্যুতের জন্য আছে জেনারেটর। তবু পোনা বিক্রেতারা এই কেন্দ্রের দিকে ফিরেও তাকাচ্ছেন না। সাড়ে পাঁচ বছর ধরে অব্যবহৃতই পড়ে আছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, মাছের পোনা বিক্রির মূল বাজার যশোর শহরের বাবলাতলায়। সেখানে সড়কের ওপর হাঁড়ি-পাতিল রেখে পোনা বিক্রি করতে মাছ চাষিদের বাড়তি খরচ হয় না। এই স্থান থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে যে বিক্রয় কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে, সেখানে জায়গা বরাদ্দ নিতে অফেরতযোগ্য ২৫ হাজার টাকা জামানত দিতে হবে। রক্ষণাবেক্ষণ খরচের জন্য প্রতি মাসে দিতে হবে আরও ১ হাজার টাকা। এ কারণে কেউ ওই বিক্রয় কেন্দ্রে যেতে আগ্রহী নন। জেলা হ্যাচারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান বলেন, তারা বিক্রয় কেন্দ্র বাবলাতলায় নির্মাণের দাবি করেছিলেন। তাদের মতামত উপেক্ষা করে এটি চাঁচড়ায় করা হয়। এখানে পর্যাপ্ত জায়গা নেই, আছে পানির সমস্যাও। একই অবস্থা যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী-পানিসারা এলাকায় নির্মিতি ফুল বিপণন কেন্দ্রটির। ২৪ কোটি টাকা খরচ করে বানানো এই বিপণন কেন্দ্রের সঙ্গে ফুল ও ফুলের বীজ সংরক্ষণের জন্য হিমাগারও রয়েছে। এক একর জমিতে গড়ে ওঠা বিক্রয় কেন্দ্রটি ২০২২ সালে উদ্বোধন হয়। আজও পড়ে আছে অব্যবহৃত অবস্থায়। ফুল চাষিরা জানান, বিক্রয় কেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য যে স্থান নির্বাচন করা হয়েছে, সেটা সঠিক নয়। ১ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে গদখালী বাজারের পাশে নির্মিত ফুলের অ্যাসেম্বল সেন্টারটির অবস্থাও একই। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না থাকায় এটিও কয়েক বছর ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট ফুল ও মাছ চাষিদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মতামতের ভিত্তিতে তিনটি স্থাপনাকে ব্যবহারযোগ্য করা হবে।
শিরোনাম
- চেহারায় পরিবর্তন আনতে গিয়ে বিপর্যস্ত অস্ট্রেলীয় টিকটকারের জীবন
- দুবাইয়ে ভালোবাসায় সিক্ত ‘ক্যাফে ২১’
- ‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
- মে দিবসে বন্ধ থাকবে বসুন্ধরা সিটি শপিং মল
- চীনের তরুণদের মাঝে সাড়া ফেলেছে দায়িত্ববিহীন 'বন্ধুত্বের বিয়ে'
- বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
- অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে ‘বৈশাখের পঙক্তিমালা’
- গরমে শরীরে পানিশূন্যতা হচ্ছে কি না যেভাবে বুঝবেন
- সুশান্তের মৃত্যুর পর যে কঠিন সময় পার করেছেন রিয়া
- নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
- আবারও সক্রিয় স্বপন-আমিন চক্র
- পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
- প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলার আবেদন আদেশের অপেক্ষায় বাদী
- কলকাতার হোটেলে ভয়াবহ আগুনে ১৪ জনের মৃত্যু
- সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
- হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
- ঝড়ের আভাস, ১১ অঞ্চলের নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত
- প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ
- শ্রমিকদের মানবাধিকার নিশ্চিতের দাবি ব্রিটিশ এমপি আফসানার
- ‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
পড়ে আছে ৪২ কোটির তিন স্থাপনা
ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে লুটপাট করতেই এসব প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল দাবি চাষিদের
সাইফুল ইসলাম, যশোর
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর